বান্দরবানে গণপিটুনির ঘটনায় ১২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

34

বান্দরবানে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনির দায়ে অজ্ঞাত ১২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে গণপিটুনির শিকার রোকেয়া বেগমের পিতা মো. সুলতান বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
গণপিটুনির শিকার রোকেয়া বেগমের পিতা মো. সুলতান নিজেদের মায়ানমারের নাগরিক দাবি করে বলেন, ২০১৭ সালে মায়ানমার হতে বাংলাদেশে এসে কক্সবাজার জেলার উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত ছিলেন। গত ১৮ জুলাই আমার মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রাম সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু আমি পানি খেতে গেলে আমার মেয়ে নিখোঁজ হয়। পরবর্তী খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার মেয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতালে আছে। পরে আমার মেয়ের সাথে কথা বলে জানতে পারি ১৯ জুলাই দুপুরে বান্দরবান শহরের বালাঘাটা বাজারের যাত্রী ছাউনির সামনে থেকে আমার মেয়েকে ১২০ থেকে ১২৫ লোক ছেলেধরা বলে গনপিটুনি দিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে আমার মেয়েকে গুরুত্বর অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনার জন্য তিনি নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১২০ থেকে ১২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কজর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার রোকেয়ার পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই বালাঘাটার লেমুঝিরি আগা পাড়া এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক রোহিঙ্গা নারীকে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। এতে গুরুত্বর আহত হয় ঐ মহিলা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুত্বর অবস্থায় ঐ তাকে উদ্ধার করে বান্দরবান হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে জানা যায় ওই মহিলাটি মানসিক ভারসাম্যহীন। সে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। কে বা কারা তাকে বান্দরবানে নিয়ে আসলে শহরের বালাঘাটা এলাকায় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয়।