বান্দরবানে কঠোর লকডাউনে মাঠে ১৮ টিম

21

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বান্দরবানে দ্বিতীয়দিনের মতো চলছে কঠোর লকডাউন। লকডাউন চলাকালে সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ শুধু ওষুধের দোকান। তবে সবজি বাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান খোলা থাকলেও সরকারের নির্দেশনা রয়েছে বিকাল ৫ টার পরপরই বন্ধ করে দেওয়ার।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনী, পুলিশ যৌথ টহল দিতে দেখা গেছে। মানুষকে সচেতন করতে অলিগলিতে রয়েছে রোভার স্কাউটের সদস্যরা। সাধারণ জনগণও ঘর থেকে বের হচ্ছে না। লকডাউন এলাকার রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা দেখা গেছে। জেলা সদরের সাথে দূরপাল্লাসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে শহরে কিছুসংখ্যক মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেলেও ট্রাফিক পুলিশ এবং সেনা সদস্যরা তা নজরদারিতে রাখেন। জরুরি প্রয়োজনে চলাচলরত ব্যক্তিদের আইডি কার্ড ও পরিচয়পত্র দেখে জিজ্ঞাসাবাদ সাপেক্ষে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের অনুমতি দিচ্ছেন। তবে ছোটখাটো যানবাহন যেমন- টমটম, ইজিবাইক, অটোরিকশা চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
লকডাউন চলাকালে চিকিৎসক, মানবিক সহায়তাকারী, কৃষি উপকরণ ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে লকডাউন বাস্তবায়নে পুরো জেলায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কাজ করছে। লকডাউন অমান্য করে যারা ঘরের বাইরে আসছে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করছে তাদের বিভিন্ন ধারায় মামলার পাশাপাশি জরিমানা আদায় করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, গত ১ জুলাই বান্দরবানের সাত উপজেলায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৮টি মামলা ও ১১ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। লকডাউনে সরকার ঘোষিত নির্দেশনাবলী প্রতিপালনে এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় ভ্রাম্যমান আদালতসংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছি। যারা আইন অমান্য করে সড়কে আসছে তাদের অনেককেই সতর্ক করার পাশাপাশি জরিমানা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সাধারণ জনগণ আরো সচেতন হলে আমরা এই করোনা মহামারি থেকে মুক্ত থাকবো এবং নিরাপদে বসবাস করতে পারবো।