বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

40

টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে সাতকানিয়ার বাজালিয়া এলাকায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়কে চলছে নৌকা, অনেকে ভ্যানগাড়িতে করেও পার হচ্ছেন তলিয়ে যাওয়া সড়কপথ। এছাড়াও প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঝিরি, খাল এবং সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা শহরে সাংগু নদীর তীরবর্তী, অফিসার্স ক্লাব, ইসলামপুর এলাকাসহ নীচু এলাকাসমূহে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে রুমা ও থানচি অভ্যন্তরীণ নৌ রুটসমূহে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা দূর্গম ইউনিয়নগুলোর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ৬৫০টি পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। গত সোমবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে বান্দরবান পৌরসভায় ৩২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৪০০টি পরিবার বান্দরবান সদরে ৫০ টি পরিবার ও লামা উপজেলায় ২০০ টি পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও এখনো ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ১৯২৩ পরিবার। ইতোমধ্যে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সাঙ্গু নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। এমনকি বিভিন্ন সড়কে মাটি ধ্বসে সাময়িক যান চলাচলও বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রুমা ও থানচিতে পর্যটক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানান, নিচু এলাকায় প্লাবিত পরিবারগুলোকে পার্শ্ববর্তী প্রাইমারী স্কুলে আশ্রয় নিতে এবং নদীর তীরবর্তী ও পাহাড়ের পাদদেশে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসরত পরিবারগুলোকে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা আরো বাড়াবো।