বাণিজ্য মেলায় মিলছে ভারত ভ্রমণের তথ্য

41

তিন কারণে বাংলাদেশের মানুষ ভারত ভ্রমণ করেন। চিকিৎসা, পর্যটন এবং ব্যবসার জন্য বাংলাদেশিদের প্রথম পছন্দ প্রতিবেশী দেশ ভারত। সঠিক তথ্য না জানার কারণে ভারতে গিয়ে অনেককে পড়তে হয় দুর্ভোগে। ভারত ভ্রমণে আগ্রহীদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য বাণিজ্য মেলায় ‘ভিজিট ইন্ডিয়া’ নামে একটি স্টল চালু করেছে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় দূতাবাস। গতকাল শনিবার দুপুরে ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ ব্যানার্জি স্টলটির উদ্বোধন করেন।
ভিজিট ইন্ডিয়া স্টল উদ্বোধনকালে অনিন্দ ব্যানার্জি বলেন, তিন কারণে মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণে যান। পর্যটন, স্বাস্থ্য সেবা ও ব্যবসার কারণে ভারতে যান লোকজন। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ লোক ভারত ভ্রমণে যান। একারণে আমরা বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রসেস সহজ করেছি। দূর-দূরান্তে বাস করা লোকজন যাতে সহজে ভিসা নিতে পারেন সেজন্য কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও নোয়াখালীতে ভিসা সেন্টার চালু করেছি। এখন ওসব এলাকার লোকজনের কষ্ট কমে গেছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার লোককে আমরা ভিসা দিয়েছি। ২০১৮ সালে তা বেড়ে ১ লাখ ৮৯ হাজারে দাঁড়িয়েছে। আরও বেশি লোককে ভিসা দিতে চাই আমরা।
এ কারণে ভারত ভ্রমণ আরও সহজ ও আনন্দদায়ক করতে চট্টগ্রামবাসীর জন্য এ স্টল চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হাতের মুঠোয় ভারত ভ্রমণের সব তথ্য মিলবে।
ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে জানিয়ে অনিন্দ ব্যানার্জি বলেন, ১৯৭১ সাল থেকেই ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ভারত সবসময় পাশে থাকবে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন অনেক বেশি সুদৃঢ়। আমরা এ সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চাই।
তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আমি ঢাকায় ছিলাম। তার ২১ বছর পরে ২০১৭ সালে চট্টগ্রামে এসেছি। এসে বুঝেছি, বাংলাদেশ আর আগের জায়গায় নেই। যার পুরো কৃতিত্ব বাংলাদেশের পরিশ্রমী মানুষের। বাংলাদেশের এ অভূতপূর্ব উন্নয়নে আমরা ভারতবাসী অত্যন্ত আনন্দিত।
পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় ‘ভিজিট ইন্ডিয়া’ স্টলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম। এসময় ভারতীয় দূতাবাস চট্টগ্রামের ফার্স্ট সেক্রেটারি শুভাশিষ সিনহা, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুবুল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কঠিন দিনগুলোতে ভারত আমাদের পাশে থেকে অকৃত্রিম বন্ধুর পরিচয় দিয়েছে। ১৯৭১ সালে যে বন্ধুত্বের শুরু তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা এ সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে ভারতের আরও সহযোগিতা চাই। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে এনে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বাড়াতে চাই।