বাড্ডায় রেনু হত্যার ঘটনায় এক নারী গ্রেপ্তার

33

ঢাকার বাড্ডায় ‘ছেলেধরা’ গুজব রটিয়ে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এবার এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাড্ডা থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে সাঁতারকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিয়া বেগম ওরফে ময়না নামের ২৭ বছর বয়সী ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।
এর মধ্যেই গত শনিবার উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তসলিমাকে (৪২) পিটিয়ে মারা হয়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি তার মেয়েকে ভর্তির খবর নিতে ওই বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। এরপর তসলিমার বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন টিটো বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
রেনুকে পিটিয়ে হত্যার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণ করা কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খবর বিডিনিউজের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে পুলিশ।
এরপর ওই হত্যাকান্ডের প্রধান সন্দেহভাজন ইব্রাহিম হোসেন হৃদয়কে মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ
থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই হৃদয়কেই লাঠি হাতে পিটুনিতে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল ভিডিওতে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সেদিন অ্যাসেম্বলি চলার সময় স্কুলের মাঠের পাশে অপরিচিত রেনুকে দেখে অভিভাবকদের কয়েকজনের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। এরপর তারা রেনুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এক পর্যায়ে রিয়া বেগম ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করে ওঠেন। এরপর পরিস্থিতি দ্রæত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বাড্ডার ওসি বলেন, এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।