বাজেটের মাধ্যমে টাকা পাচারকারীদেরকে প্রশ্রয় দেওয়া হল

15

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় সংসদে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহŸায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট শুনতে ভালো লাগছে, কিন্তু যেসব খাত থেকে বাজেট পূরণ করার কথা বলা হচ্ছে, সেটা চ্যালেঞ্জিং। এটা একটা অসম বাজেট। এত বড় ঘাটতির বাজেট দিয়ে স্বপ্নপূরণ করা সম্ভব নয়। এটি একেবারেই অবাস্তবায়নযোগ্য এবং কল্পনা প্রসূত বাজেট। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ এমনিতেই দিশেহারা এর উপর ভ্যাট ও কর দেওয়া তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিশেষ করে এই বাজেটের মাধ্যমে টাকা পাচারকারীদেরকে প্রশ্রয় দেওয়া হল। এই বাজেট মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।
তিনি বলেন, এই বাজেটে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যারা দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছে, এই বাজেটের মাধ্যমে তাদেরকে বৈধতা দেওয়া হবে। পাচারকারীরা বাংলাদেশে টাকা নিয়ে আসলে অবৈধ টাকাকে সাদা করে দিবে। তাছাড়া কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বাজেটে দেওয়া হয়েছে। সেটাও দুর্নীতিকে চলমান রাখার আরেকটি প্রয়াস মাত্র। এই মুহূর্তে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে সব খাতকে অগ্রাধিকার ও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন তা এ বাজেটে নেই। তাদের চিন্তাই হচ্ছে নিজেদের লোকদের পকেট ভারি করা।
তিনি বলেন, আমদানি, রপ্তানি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান প্রভৃতি সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো আলোচনা করলেই স্পষ্ট যে প্রবৃদ্ধি অর্জন নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত। যা কঠিন এবং অসম্ভব। জিডিপি ও রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা দৃশ্যমানভাবেই প্রতারণার শামিল।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকে যে বাজেট পাস হলো, সেটি গণবিরোধী, উদ্ভট তামাশা, জীবনযাত্রার মানকে নিম্নমুখী করা, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিসহ মানব উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা ও জনগণের পকেট কাটার বাজেট। আমরা এ প্রতিক্রিয়াশীল বাজেটের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।