বাজারে দামের উত্তাপ

26

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে দুই সপ্তাহ আগে চায়না আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ঠেকেছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। পাশাপাশি ৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া ভারতীয় আদা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। অন্যদিকে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে চায়না রসুন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারে আসা নতুন দেশি পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে খাতুনগঞ্জ ও রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় গেলে বাজারের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী পূর্বদেশকে বলেন, ‘এলসি খুলতে না পারায় বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। আমাদের আদা-রসুনের গুদামও প্রায় খালি। সরবরাহ কমে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আদা-রসুনের দাম আরও বেড়ে যাবে।’
এদিকে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে মুরগীর বাজার। দু’সপ্তাহ স্থির থাকার পর বর্তমানে কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। অন্যদিকে আমদানি ও সরবরাহ সংকটে দু’সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। অপরদিকে দু’সপ্তাহ ধরে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগী ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল তা বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। তাছাড়া সোনালী ২৬০ টাকা, দেশি মুরগী ৫শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগী বিক্রেতা মো. আসলাম বলেন, ‘শীতকালে মুরগীর অসুখ বেশি হয়। লোকসানের ভয়ে অনেক খামারি মুরগী পালন করেন না। তাই বাজারে মুরগীর সরবরাহ কমায় দামটা বাড়ছে।’
এদিকে বাজারে প্রতিকেজি ফুলকপি ৩০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, মূলা ২৫ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা ও নতুন আলু ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কাতলা মাছ ২৭০ টাকা, কার্প জাতীয় মাছ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, কই ২২০ টাকা, মৃগেল ২০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৫৬০ টাকা, পোয়া মাছ ৪শ টাকা, রুপচাদা মাছ ৬শ টাকা, প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার টাকা, কোরাল ৫৫০ টাকা, পাবদা ৪শ টাকা, শিং ৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। অপরদিকে আটা-ময়দার দাম কমতে শুরু করেছে। দুই কেজির প্যাকেটে ২০ টাকা কমে আটা ১৩৫ টাকা ও ময়দার প্যাকেটে ১০ টাকা কমে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশি মসুর ডাল ১৩০ টাকা ও আমদানি করা ডাল ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।