বাছাইপর্বে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

39

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত দুই আসরের মতো পরবর্তী আসরেও বাছাইপর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশকে। তবে গত দুই আসরে বাছাইপর্বে খেললেও এবার বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আফগানিস্তান। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন দল শ্রীলঙ্কাকেও এবার বাছাইপর্বে খেলতে হবে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর-১৫ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। এই আসরের মূল পর্বে অংশ নিবে ১২টি দল। মূল পর্বের জন্য র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে আটটি দল নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দলগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। বাকি চারটি দল ঠিক হবে বাছাইপর্বের মাধ্যমে। বাছাইপর্বে অংশ নিবে মোট আট দল। এর মধ্যে দুইটি দল হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। বাকি ছয়টি দল নির্ধারিত হবে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি কোয়ালিফায়ার্স এর মাধ্যমে। বাছাইপর্ব থেকে সেরা চারটি দল সুপার-১২ পর্বে খেলবে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে দশম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে নবম অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে খেলার বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। তবে দুই অধিনায়কই বাছাইপর্ব পেরিয়ে সুপার-১২ পর্বে খেলার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘আমরা সরাসরি সুপার-১২ পর্বে জায়গা পাইনি। কিন্তু আশা করি গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে আমরা ভালো করতে পারব।’ লঙ্কান অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা বলেছেন, ‘বিষয়টি খুব হতাশার যে, বিশ্বকাপে আমরা সরাসরি সুপার-১২ পর্বে জায়গা করে নিতে পারিনি। কিন্তু আশাবাদী যে, আমরা বিশ্বকাপে ভালো করব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে আমরা তিনবার ফাইনাল খেলে একবার শিরোপা জিতেছি।’ ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসরেও বাছাইপর্বে খেলতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এই আসরে বাছাইপর্ব পেরিয়ে বাংলাদেশ উঠেছিল সুপার-১০ পর্বে।