মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ চট্টগ্রামে সাংবাদিক অঙ্গনের একজন সুনিপুণ পথিকৃৎ। রাজনৈতিক অঙ্গনেও তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদীর চেতনার এক আলোকবর্তিকা। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবেও তাঁর অন্যতম ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। গতকাল বিকালে নগরীর পল্টন রোডস্থ জহুর আহমদ চৌধুরী টাওয়ারে দৈনিক আজাদীর সাবেক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের বিশ্বস্ত সহচর অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্মরণসভায় মুখ্য আলোচক আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ সম্পাদক ও সাংবাদিক হিসেবে যেমন সত্যদ্রষ্টা ছিলেন একইভাবে রাজনীতিক হিসেবেও তিনি ছিলেন নির্লোভ। তার চারিত্রিক গুণাবলী আদর্শিক রাজনীতিকদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফর আলী বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে খুব কাছ থেকেই দেখা ও জানার সুযোগ ঘটেছিল। তার মধ্যে সামান্য অহংবোধও ছিল না। তার কাছে সবসময় সৎ পরামর্শ পেয়েছি। একজন মানুষ হিসেবে তিনি মানুষের জন্যই নিবেদিত ছিলেন।
মরহুম অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর সন্তান মোহাম্মদ জহির বলেন, আমার বাবার প্রতি চট্টগ্রামবাসীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আমাদের পরিবার অবিভূত। তিনি সর্বজনের কাছে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন। স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ একজন সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসেবে যতটা সার্থক ছিলেন রাজনীতিক হিসেবেও তিনি ততটা সার্থক। পদ পদবীর জন্য তাঁর কোন আকাক্সক্ষা ছিল না। তার আরাধ্য ছিল মানুষের কল্যাণ ও সমাজের প্রগতি।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এম এ মান্নান শিমুলের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীরের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস হাফিছ খান রুমু, চসিক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, নগর যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সুমন দেবনাথ, প্রাবন্ধিক শেখ মুজিব আহমেদ, জাবেদুল আলম সুমন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুমন সাহেদ সিদ্দিকী, সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি মো. মিরন হোসেন মিলন, তামাকুমন্ডী লেইন কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. বখতেয়ার, চট্টগ্রাম হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ, চিত্রশিল্পী জয়দেশ দাশ যদু, মেট্রোপলিটন হকার্স লীগের প্রচার সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন মো. রুবেল, মো. ফারুক, মো. জয়নাল, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. সাগর, ওমর ফারুক পারভেজ, অভিজিৎ দে ঝুমুর, ফখরুল ইসলাম ফরহান, অরুপ বড়–য়া, কুমার রাজর্ষি, মো. পান্নু হাসান চৌধুরী, মো. সাইফুল খান রানা, শহীদুল ইসলাম বাপ্পী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
