বাঙালির সুরক্ষার প্রধান অবলম্বন শেখ হাসিনা

33

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা নির্বাসনে ছিলেন। দীর্ঘ ৬ বছর শোক-কষ্টের ওই নির্বাসন জীবন পার করে দেশের মাটিতে পা রাখেন। সেই সময় জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত ছিল সামরিক স্বৈরাচার। তাদের ইন্ধনে একাত্তরের পরাজিত শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে এদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালনা করছিল। সেই কঠিন সময়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দিয়েছেন।
গতকাল সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মেয়র।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন। তিনি বাঙালির সুরক্ষার প্রধান অবলম্বন।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে এবং সকল উন্নয়নের সূচক বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে, এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও এগিয়ে। আওয়ামী লীগের এ বিশাল অর্জনের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তাদের সাথে বন্ধন তৈরি করতে হবে।
সভাপতির ভাষণে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হয়নি বরং তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতির কলঙ্ক মোচন করেছেন এবং দারিদ্র্য-বিমোচন ও ক্ষুধামুক্ত লড়াইয়ে বিশ্বনেত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আবদুল আহাদ, লায়ন মো. হোসেন, আবু তাহের, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহরলাল হাজারী, কার্যনির্বাহী সদস্য এমএ জাফর, গাজী মফিউল আজিম, পেয়ার মোহাম্মদ, নুরুল আলম, মোহব্বত আলী খান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, বেলাল আহমেদ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল হাসান, থানা আওয়ামী লীগের সিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, মো. ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শামসুল আলম, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি