স্পের্টস ডেস্ক
শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে তিন দিনের কোয়ারেন্টাইনের পর দুই দিনের অনুশীলন, তারপর নিজেদের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচও শেষ। এখন অপেক্ষা টেস্ট সিরিজে মাঠে নামার। আগামীকাল ২১ এপ্রিল ক্যান্ডিতে শুরু দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। সে লক্ষ্যে গতকাল সকালেই নিগোম্বো থেকে যাত্রা কওে বিকেলে ক্যান্ডি পৌঁছেছে টাইগাররা। টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন আগেই জানিয়েছেন, ক্যান্ডি পৌঁছানোর পর বিশ্রামেই কাটবে সন্ধ্যা ও রাত। পরে আজ (মঙ্গলবার) সকালে অনুশীলন। এদিকে সবার কৌতূহলী প্রশ্ন, ২১ জনের প্রাথমিক দল থেকে যে ১৬ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড সাজানোর কথা, সেটার খবর কী? এ প্রশ্নের জবাবে দল নেতা খালেদ মাহমুদ সুজন ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, আমরা ১৫-১৬ জনের দল চূড়ান্ত করে ফেলব। তবে যারা মূল স্কোয়াডে থাকবে না, তাদের দেশে ফেরত পাঠান হবে না। হবে না বলার চেয়ে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত। কারণ কলম্বো থেকে এখন দেশে ফেরার কোন ফ্লাইট নেই। সব ফ্লাইট বন্ধ। পুরো টেস্ট সিরিজ শেষে বাকিরা মূল দলের সঙ্গেই বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফিরে আসবেন।
খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, দল চূড়ান্ত হওয়ার পরে যারা বাইরে থাকবে, তারা হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে একসঙ্গে থাকলেও দলের সঙ্গে টেস্ট চলাকালিন মাঠে আসতে পারবে না। তাদের ড্রেসিংরুমে প্রবেশাধিকারও থাকবে না। তবে সুজন ও নান্নু দুজনই জানিয়েছেন, যারা টেস্ট দলের বাইরে থাকবে, তারা নেটে বোলিং করবেন। প্রচÐ গরমে নেটে বোলিংয়ের জন্য বাড়তি বোলার প্রয়োজন, তাই মূল দলের বাইরে থাকারা নেট বোলারের ভূমিকায় থাকবেন।
প্রধান নির্বাচক নান্নু বলেছেন, ১৫-১৬ জনের দল হবে। মুশফিকুর রহিম কিপিং করছেন না। লিটন দাসকেই ভাবা হচ্ছে সম্ভাব্য উইকেটকিপার। তবে রিজার্ভ কিপার হিসেবে মূল স্কোয়াডে নুরুল হাসান সোহানের থাকার সম্ভাবনা আছে বেশ। ধারণা করা হচ্ছে, শুভাগত হোমও হয়তো স্পিনিং অলরাউন্ডারের কোটায় বিশেষ বিবেচনায় থাকবেন। সে ক্ষেত্রে অফস্পিনার নাঈম হাসানের দলে থাকার সম্ভাবনা খুব কম।
১৬ জনের সম্ভাব্য স্কোয়াড: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, ইয়াসির আলি রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, শুভাগত হোম, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
