বাঘাইছড়িতে ঘরে ঢুকে জেএসএস সদস্যকে গুলি করে হত্যা

14

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ঘরে ঢুকে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ দলের সন্ত্রাসীরা। নিহতের নাম সুরেশ কান্তি চাকমা (৫৫) ওরফে দীনেশ। শুক্রবার ভোরে বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বি ব্লক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বঙ্গলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান জ্যোতি চাকমা জানান, সুরেশ কান্তি চাকমা জেএসএস মূল দলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা সদর থেকেপ্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ওই এলাকার জনৈক সুপ্পে চাকমার বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে অতর্কিতে ঘরে ঢুকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় অপরিচিত সন্ত্রাসীরা। এতে ঘটনাস্থলেই সুরেশ চাকমা মারা যান। ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষ জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপকে দায়ী করেছে জেএসএস (মূলদল)। এ ঘটনায় এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় করেঙ্গাতলী ক্যাম্পের সেনাবাহিনী ও বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের একটি যৌথদল লাশ উদ্ধারে ঘটনাস্থল যায়। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ঘটনার দিন বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনে নিহতের লাশ উদ্ধারে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিন্তু লাশ এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে ঘটনার জন্য জেএসএস’কে (এমএন লারমা) দায়ী করেছেন জেএসএস’র (মূলদল) স্থানীয় নেতা ত্রিদিব চাকমা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস (এমএন লারমা) বাঘাইছড়ি উপজেলার সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা বলেন, ওই এলাকায় আমাদের সংগঠনের কেউ নেই। ঘটনাটি জেএসএস মূলদলের ভেতর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ঘটেছে। এটা সামনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা।