বাকলিয়ায় নির্মাণাধীন হিমাগারে আগুন

21

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর বাকলিয়ায় নির্মাণাধীন একটি হিমাগারে (কোল্ড স্টোরেজ) অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বাকলিয়া এক্সেস রোডের মুখে ‘তাজা মাল্টিপারপাস কোল্ডস্টোর’ নামে এ প্রতিষ্ঠানের চারতলা ভবনে আগুন লাগে। প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। ভবনটিতে অবাধে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা (ভেন্টিলেশন) না রাখায় প্রচুর ধোঁয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। ভবনটির পুরোটাই কোল্ডস্টোরেজ হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা কয়েকজন এক্সেস রোডের মুখে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ ভবনটির ভেতর থেকে ধোঁয়া দেখতে পাই। প্রথমে ভেবেছি, নির্মাণ কাজের জন্য ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে দেখি, ধোঁয়া আরও বাড়তে থাকে। বাইরে থেকে ভবনটির ভেতরে বৈদ্যুতিক তার, গ্যাসের সিলিন্ডারসহ আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম দেখতে পাই।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে তিনটি স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে নেভানোর কাজ শুরু করে। এরপর আরও তিনটি ইউনিট কাজে যোগ দেয়। মোট ১০টি ইউনিটের কর্মীরা সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে দুপুর ১টা ১২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, এটা এস আলম গ্রুপের কোল্ডস্টোরেজ বলে শুনেছি। এটার চারপাশ আটকানো অবস্থায় আছে। ভেন্টিলেশনের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ককশিট রাখা ছিল। সেগুলোতে আগুন লাগার কারণে ধোঁয়া ছিল বেশি। সেগুলো স্বাভাবিকভাবে বের হতে না পেরে বড় বড় কুন্ডলী হয়ে বের হয়েছে। এজন্য কাজ করতে খুব সমস্যা হয়েছে। এত বড় বড় ধোঁয়ার কুন্ডলী ছিল, আমাদের খুব সতর্কভাবে কাজ করতে হয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় সম্ভবত শ্রমিকরা কাজে আসেননি। ভেতরে লোকজন ছিল না। এজন্য জানের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে ভেতরে কোল্ডস্টোরেজের প্রচুর সামগ্রী ছিল। সেগুলো পুড়ে গেছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
এস আলম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপক আশীষ কুমার নাথ জানান, এ হিমাগারটি নির্মাণ করছেন এস আলম গ্রুপর পরিচালক শহীদুল আলম। তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে সেটি নির্মাণ করছেন। কোল্ডস্টোরেজে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কাজ চলছিল। তবে আজ (শুক্রবার) কাজ বন্ধ ছিল। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেটা আমরা বলতে পারছি না। ভেতরে কেউ ছিল না। নিরাপত্তার দায়িত্বে দুই-তিনজন ছিলেন, উনারা নিরাপদ আছেন। আগুন যাতে আশপাশে ছড়িয়ে না পড়ে, আমরা সেই প্রচেষ্টায় ছিলাম। তবে ভবনের চারতলায় বেশকিছু এয়ারকন্ডিশন (এসি) ছিল। দোতলায়ও অনেক সরঞ্জাম ছিল। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।