বাকলিয়ার স্নত্রাস মামুন গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার

43

একের পর এক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ধরা পড়ছে। রাজনৈতিক পরিচয়েও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। চকবাজারে কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুকে গ্রেপ্তারের পর এবার বাকলিয়ায় ধরা পড়ল আরেক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মো. মামুন। সেও নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিত। তারা দু’জনই সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এনিয়ে সন্ত্রাসীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে মামুনের দুই সহযোগী সজীব ও নাঈমকে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামুনের গ্রেপ্তারে আনন্দ মিছিল করেছে এলাকাবাসি।
জানা যায়, বাকলিয়ার ত্রাস হিসেবে পরিচিত মো. মামুনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুুলিশ। পরে তার আস্তানা থেকে একটি এলজি ও তিন রাউন্ড কার্তুজ এবং দুটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। মামুন (৩৭) বাকলিয়া থানার রাজাখালী ফায়ার সার্ভিস এলাকার বাচুর বাপের বাড়ির আমজু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মামুন নিজেকে যুবলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি আরেক যুবলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেন।
বাকলিয়া থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, গত রবিবার মামুন এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে জিয়াউল হক জিয়া নামে একজনকে গুরুতর আহত করেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একটি মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ায় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
মামুনের বিরুদ্ধে বাকলিয়াসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসি জানায়, মামুন একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্র্সাী। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুনসহ এহেন অপরাধ নেই যা সে করেনি। মামুন ও তার বাহিনীর ভয়ে এলাকাবাসি ছিল ভীতসন্ত্রস্ত। তাকে চাঁদা না দিয়ে কেউ ব্যবসা করতে পারত না। ভবন নির্মাণ করতে গেলে, জায়গা জমি কেনাবেচা করতে গেলেও টাকা দিতে হত চাঁদা। টাকার বিনিময়ে সে জায়গা জমিও দখল করে দিত।
এলাকার মাদক ব্যবসা ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। বাকলিয়া, চাক্তাই, রাজাখালীসহ পুরো এলাকায় সে ইয়াবা ব্যবসা করত বলে জানায় এলাকাবাসি। টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে বস্তিতে মজুদ করার পর বিক্রি করত। তার গ্রেপ্তারে এলাকায় স্বস্তি নেমে আসে।
অপরদিকে তার দুই সহযোগী সজীব ও নাঈমকে বুধবার সকালে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারাও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত বলে পুুলিশ জানিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।