বাইশারী ইউনিয়নে সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে

47

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের চাক হেড়ম্যান পাড়া থেকে পিএইচপি রাবার বাগান হয়ে ভায়া লংগদুর মুখ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার ব্রিক সলিন দ্বারা উন্নয়নমুলক সড়কের কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে। সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে পাহাড়ী বাঙ্গালী প্রায় হাজার মানুষের ভাগ্যের আমুল পরিবর্তন হবে এবং পাহাড়ের চিত্র পাল্টে যাবে বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য থোয়াইছালা চাক। স্থানীয় বাসিন্দা ও বাইশারী বাজার চৌধুরী বাবু ময়েং চাক জানান, চাক হেড়ম্যান পাড়া, শিয়া পাড়া, মাঝের পাড়া, নতুন চাক পাড়া, ধৈয়ার বাপের মার্মা পাড়া ও দুর্গম পাহাড়ে বসবাসকারী বাদুর ঝিরি পাড়া, ত্রিপুরা পাড়ার লোকজন সহজে গাড়ী যোগে বাজার ঘাট, ইউনিয়ন সদরে এবং উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ সক্ষম হবে। জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নবোর্ডের অধীনে অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে (২০১৮ এবং ২০২০ অর্থ বছর সাল) নির্মাণ করা হচ্ছে দীর্ঘ দশ কিলোমিটার ইট বিছানো সড়ক। সড়কটি নির্মাণ করা হলে পাল্টে যাবে দূর্গম পাহাড়ী জনপদের চিত্র। পাহাড়ে উৎপাদিত ফল ফলাদি, শাক সবজি, ধান চাউল, বাশ গাছসহ নানা পণ্য সহজে বাজার জাত ও ন্যায্য মুল্যদিয়ে বিক্রি করতে পারবেন চাষীরা। পাশাপাশি হাজারো শ্রমিক রাবার বাগানের কষ আহরন করে আর কাধে বহন করা লাগবেনা। উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ম্যানেজার নুর হোসেন জানান, যত দ্রæত সম্ভব মাটির কাজ শেষ হবার পরপরই ইট বিছানো আরম্ভ হবে এবং দ্রæত গতিতে উন্নত ভাবে কাজটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপি মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশেষ বরাদ্দ থেকে দুর্গম এলাকার মানুষের জন্য যাতায়াত সুবিধা, নিরাপত্তা, শান্তি, উন্নয়নসহ নানা দিক বিবেচনা করে এই রাস্তাটির নির্মাণ করা হচ্ছে। তাছাড়া রাস্তাটি দিয়ে সহজে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যারা গাড়ী যোগে টহল দিতে পারবেন।
ফলে সন্ত্রাসীরা এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাতে সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মাদ ইয়াছিন আরাফাত জানান, কাজের গুনগত মান ঠিক রেখে ধাপে ধাপে দশ কিলোমিটার মাটির কাজ এবং ইট বিছানো কাজ সম্পন্ন করা হবে। দুর্নীতি ও নি¤œ মানের মালামাল দিয়ে কাজ কোন রকম সহ্য করা হবে না। কোন ধরনের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।