বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেলেন কবি-সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী

129

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বজিৎ চৌধুরী। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশা সাংবাদিকতা। শিশুসাহিত্য দিয়ে লেখালেখি শুরু হলেও উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা, কথা সাহিত্য ও সৃজনশীল সাহিত্যে তার অবাধ বিচরণ ঘটে। তার লেখা বেশ কয়েকটি নাটক বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসে কর্মরত রয়েছেন। চট্টগ্রামের মাটিধন্য বিশ্বজিৎ চৌধুরী এবার কথা সাহিত্যে পাচ্ছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার।
বিশ্বজিৎ চৌধুরী ছাড়াও প্রবীণ রাজনীতিক হায়দার আকবর খান রনো, অধ্যাপক পান্না কায়সারসহ মোট ১৫ জন লেখক, গবেষক ও সাহিত্যিক এবছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণার জন্য এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। স্মৃতিকথার জন্য পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন হায়দার আকবর খান রনো।
গতকাল রবিবার বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০২২ সালের পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হয়।
মোট ১১টি বিভাগে পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন- কবিতায় আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ, কথাসাহিত্যে ঝর্না রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধ বা গবেষণায় হোসেন উদ্দীন হোসেন, অনুবাদে আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী, নাটকে সাধনা আহমেদ, শিশুসাহিত্যে রফিকুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় পান্না কায়সার, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষণায় হারুন-অর-রশিদ, বিজ্ঞান বা কল্পবিজ্ঞান বা পরিবেশ বিজ্ঞানে শুভাগত চৌধুরী, আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা বা ভ্রমণকাহিনীতে সুফিয়া খাতুন ও হায়দার আকবর খান রনো এবং ফোকলোর বিভাগে আমিনুর রহমান সুলতান। একুশের বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এই পুরস্কার প্রদান করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মাসব্যাপী একুশের বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি শুরুর কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার তা দুই সপ্তাহ পিছিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলা একাডেমি। ১৯৫৫ সালে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার ৫ বছর পর ১৯৬০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দিয়ে আসছে।
চট্টগ্রামে বিশ্বজিৎ চৌধুরীর পুরস্কার প্রাপ্তির ঘোষণায় আনন্দে ভাসছে মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের লোকজন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা জানাচ্ছেন বিশ্বজিৎ চৌধুরীর শুভাকাক্সিক্ষরা।
এ বিষয়ে বিশ্বজিৎ চৌধুরী জানান, বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়টি আমাকে অভিভ‚ত করেছে। ধন্যবাদ সকলকে। এ অর্জন আমাকে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেবে।