সৌদি আরবের সাথে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি দেশটির সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন যে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এই প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রিয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে এই বিষয়টি দূতাবাসের ডিফেন্স উইং দেখছে। তবে এ ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি তিনি।
পরে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মুঠোফোনে রাষ্ট্রদূত ব্যাস্ত রয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, এটি আসলে এমওইউ বা সমঝোতা স্মারক হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।
গত রবিবার দূতাবাসের দেওয়া বিবৃতিতে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১৪ই ফেব্রæয়ারি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে সৌদি আরব সফররত বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওইদিন সৌদি আরবের যৌথ বাহিনীর প্রধান ফায়াদ আল-রুয়ায়লির সাথে বৈঠক করেন। এছাড়া সেনাপ্রধান সৌদি আরবের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল-আয়েশ এর সাথে রিয়াদে এক বৈঠক করেন।
দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হবে, তাতে বাংলাদেশের সৈন্য মোতায়েন এবং তাদের কাজের ধরণ কী হবে তা নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।
দূতাবাসের বিবৃতিতে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ জানান, সৌদি-ইয়েমেনের সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিদ্ধস্ত এলাকায় মাইন অপসারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে এর আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি ব্যাটালিয়নের প্রায় ১ হাজার ৮০০ সৈন্য সৌদি আরবে মোতায়েন করা হবে।
বাংলাদেশের সেনাসদস্যদের ইয়েমেন সীমান্তে মাইন অপসারণের কাজে নিয়োজিত করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই কার্যক্রম সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী অনেকদিন ধরেই সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ আরো জানান, সৌদি আরবের ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টারটেরোরিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি)-এ বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সহ চারজন কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নাম দেয়া হয়েছে। এই কোয়ালিশনের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।