বাংলাদেশ- ব্রুনাই সাত চুক্তি সই

91

বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে গতকাল সোমবার কৃষি, মৎস্য, পশুসম্পদ, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া এবং এলএনজি সরবরাহের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার বিষয়ে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ব্রুনাইয়ের সুলতানের সরকারি বাসভবন ইস্তানা নূরুল ইমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এই চুক্তিগুলো সই হয়। সাতটি চুক্তির মধ্যে ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি বিনিময় নোট। এগুলো হচ্ছে, কৃষি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), মৎস্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক, পশুসম্পদ ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক, সাংস্কৃতিক ও শিল্প সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক, এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসার ছাড় সংক্রান্ত বিনিময় নোট।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে সুলতান হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে তিনদিনের সরকারি সফরে ব্রæনেই যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনারের মাধ্যমে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় শেখ হাসিনাকে। ব্রুনেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান দেশটির ক্রাউন প্রিন্স (যুবরাজ) আল-মুহতাদি বিল্লাহ বলকিয়া। সকাল ১১ টায় ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার সরকারি বাসভবন ইস্তানা নুরুল ইমানে যান। সেখানে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রথা ভেঙে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান জানিয়ে প্রাসাদের করিডোরে এসে স্বাগত জানান সুলতান হাসানাল বলকিয়া এবং ক্রাউন প্রিন্স (যুবরাজ) আল-মুহতাদি বিল্লাহ বলকিয়া।
ইস্তানা নুরুল ইমান প্রাসাদের চেরাদি লায়লা কেনচানায় সুলতান বলকিয়া ও রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বাসসের
পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক ব্রিফিংকালে বলেন, ‘দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা এমওইউ এবং বিনিময় নোটে সই করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়া উপস্থিত ছিলেন’। ব্রিফিংয়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন এবং সংকটের স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন ব্রুনেই সুলতান হাসানাল বলকিয়া। এজন্য সবাই (আন্তজার্তিক স¤প্রদায়) সম্মিলিতভাবে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন ব্রুনেই এর সুলতান হাসানাল বলকিয়া। সুলতান হাসানাল বলকিয়ার সরকারি বাসভবন ইস্তানা নুরুল ইমানের চেরাদি লায়লা কেনচানায় দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুলতান হাসানাল বলকিয়া বেশ বড় একটা বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের সবাই মিলে একটা পার্মানেন্ট সলিউশন করা উচিত। আমাদের সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত, যাতে তারা (রোহিঙ্গা) ফিরে যেতে পারে। শহীদুল হক বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ানের বড় ইনভলভমেন্ট চেয়েছেন এবং এ ব্যাপারে সুলতানের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, সুলতান রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আসিয়ানদের ইনভলভমেন্টের কথা বলেছেন, আসিয়ান হিউম্যানেটেরিয়ান সেন্টারের কনটেক্সটে। শহীদুল হক বলেন, টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্রুনেই সুলতান বলেছেন, এটা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরর স্বীকৃতি হিসেবে জনগণের রায়। দুই দেশের সম্পর্ক আরও স¤প্রসারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরকে মাইলস্টোন হিসেবে উল্লেখ করেন সুলতান। জানান পররাষ্ট্রসচিব।
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে, তার স¤প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন হাসানাল বলকিয়া। পররাষ্ট্রসচিব জানান, ব্রুনেই এর সুলতানের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা ছাড়াও দু’দেশের সহযোগিতা ও বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন।
দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো, প্রিফেরেন্সিয়াল টেড অ্যারেঞ্জেমেন্ট করতে সম্ভাব্যতা যাচাই, বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে যৌথ কমিশন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্রুনাইয়ের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আমন্ত্রণ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে দ্বৈত কর পরিহারের ওপর গুরুত্বারোপ, স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতে বিশেষ করে ওষুধ ব্রæনেই-বাংলাদেশ বড় ধরনের সহযোগিতা, প্রবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করা, ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশের মধ্যে একটা অর্থনৈতিক এনটিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও ব্রুনেইয়ের সুলতান ও তার স্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুলতান প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন বলে জানান পররাষ্ট্রসচিব।
এদিকে বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে যে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং ব্রুনাইয়ের প্রাথমিক সম্পদ ও পর্যটনমন্ত্রী হাজী আলী বিন আপং নিজ নিজ পক্ষে কৃষি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক সই করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও ব্রুনাইয়ের প্রাথমিক সম্পদ ও পর্যটন মন্ত্রী হাজী আলী বিন আপং মৎস্য ক্ষেত্রের এবং প্রাণি সম্পদের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক দু’টি সই করেন। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ও ব্রুনাইয়ের সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) হাজী আমিনউদ্দীন ইহসান সাংস্কৃতিক ও শিল্প সহযোগিতা বিষয়ক এমওইউ স্বাক্ষর করেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং ব্রুনাইয়ের সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) হাজী আমিনউদ্দীন ইহসান যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ব্রুনাইয়ের জ্বালানি, জনশক্তি ও শিল্পমন্ত্রী ড. আওয়াং হাজী মাত সানি এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
ব্রুনাইয়ের সুলতানের আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ব্রুনাইতে রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার তাঁর দেশে ফেরার কথা।

উদারনীতির বাংলাদেশ বিনিয়োগের আকর্ষণীয় স্থান : অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে দুই দেশের অভিন্ন অগ্রযাত্রায় ব্রুনেইয়ের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার ব্রুনেই সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের যৌথ সভায় এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্যয়, মানবসম্পদ, অভ্যন্তরীণ বাজার, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ সুবিধা, বিনিয়োগ সুরক্ষা ও সামাজিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিচারে বাংলাদেশ বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।
বাংলাদেশের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ বিদেশি মালিকানা সুবিধা, পুরো পুঁজি ফেরত নেওয়ার সুবিধা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপানসহ বিশ্বের বড় বড় মার্কেটগুলোতে প্রবেশাধিকার, বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা আইন, উদার ট্যাক্স নীতিমালা, মেশিনারিজ আমদানিতে কর রেয়াতসহ বিভিন্ন সুবিধার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ অন্যতম বেশি উদার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্র। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্বিতীয় বৃহত্তম ও জিডিপির ভিত্তিতে বিশ্বে ৪১তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ, এখানকার শক্তিশালী বেসরকারি সেক্টর, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও বিনিযোগের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রগতিশীল ম্যাক্রো-ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে টেকসই নীতিমালা, অবকাঠামো ও মানব উন্নয়নে জোরালো বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অসাধারণ সাফল্য এনে দেয়।
গত বছর ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পর এবছর জিডিপি ৮.১৩ শতাংশে উন্নীত হওয়ার রেকর্ড করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এবছর মাথাপিছু আয় ১৯০৯ মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী, যা মধ্যম আয়সীমার খুবই কাছাকাছি। খবর বাংলানিউজের
শিল্পখাতের দ্রæত বর্ধিতকরণের মাধ্যমে পাঁচ বছরে বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানি আয় দ্বিগুণ হওয়ার কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কৃষি ও সেবা খাত দেশের অর্থনীতিকে আরো বেশি স্থিতিশীল করেছে। বেসরকারি খাতকে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বেসরকারি খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাশিপ ও বেসরকারি বিনিয়োগে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। সারা দেশে বিনিয়োগের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, আইটি সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সুনাম বিশ্বব্যাপী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে তৈরি পোশাক শিল্পে চায়নার পরে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকাসহ বিশ্বের ১০০টি দেশের ওষুধ রপ্তানির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোয়ালিটি মেডিসিন তৈরিতে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম বড় কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
প্যাসেঞ্জার ও কার্গো জাহাজ ইউরোপসহ ১৪ দেশ রপ্তানির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব মানের সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ করে বাংলাদেশ বিশ্বের নজর কেড়েছে।
সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৮’শর মতো আইটি কোম্পানি রয়েছে বাংলাদেশে এবং এর ১৫০টি বেশি কোম্পানি বিদেশি ক্লায়েন্টদের আইটি সেক্টরে সেবা দিচ্ছে। মাক্রোসফট, ইনটেল, আইবিএম, ওরাকল ও সিসকোসহ বিশ্বের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুই হাজারের বেশি আইটি প্রফেশনাল কাজ করছে।
পাট ও পাটজাত পণ্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে পরিবেশ বিপর্যয় এবং এ নিয়ে সচেতনা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বিশ্ব বাজারে। অপেক্ষাকৃত সুলভমূল্যে পাটের বিভিন্ন পণ্যের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকবার ব্রুনাই সফর করেছি, সে জন্য আমি জানি ব্রুনেই খুব সুন্দর, খুবই শান্তিপূর্ণ দেশ। এখানকার মানুষগুলো খুব চমৎকার। এজন্য আমি আমার ব্যবসায়ীদের এই দেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছি এখানে এসে ব্রুনেই সম্পর্ক জানুন। একই সঙ্গে ব্রæনেই দারুসসালামের ব্যবসায়ী কমিউনিটিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাই আসুন বাংলাদেশকে জানুন’।