বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তির অংশ হবে : রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তির অংশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদ‚ত এইচ ই মিং আলেক্সান্ডার ম্যানটিটাক্সি। এ সময় তিনি দেশে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মেয়র ও রাষ্ট্রদূত নগরীর লালদীঘি পার্কে সোভিয়েত ইউনিয়নের নাবিক ইউরিজ রেডকিনের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে কর্ণফুলী নদীর বন্দর চ্যানেলে পাকিস্তানি বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন অপসারণ করতে গিয়ে বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের এই নাবিক।
সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে অসৎ উদ্দেশ্যে কর্ণফুলীর বন্দর চ্যানেলে শত শত মাইন পুঁতে রাখে। চ্যানেলটিকে মাইনমুক্ত করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের আহব্বানে সাড়া দেয়। তাদের নাবিকদের একটি দলের মাইনমুক্ত করার সফল অভিযানের ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল আশঙ্কামুক্ত হয়। এই মাইন অপসারণ করতে গিয়ে রেডকিনের যে আত্মত্যাগ সেটা আমরা কখনও ভুলতে পারি না। তিনি শুধু বাঙালির বন্ধু নন, বাঙালির পরামাত্মীয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের এই নাবিকের আত্মবিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুই রাষ্ট্রের মৈত্রীর বন্ধন মর্যাদাপ‚র্ণ ও সূদৃঢ় হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতা বিশেষ করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার ঘটনা ইতিহাসের পাতায় একটি স্বাধীন জাতিসত্ত্বার অভ্যুদয়ের অন্যান্য নজির হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’।
এসময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদ‚ত বলেন, স্বাধীনতার পর খুব কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। এর ফলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভাটা পড়ে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ দেশ এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোড মডেল। এজন্য বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে আমরা গর্বিত। রাশিয়ার সহযোগিতায় পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ পারমানবিক শক্তির অংশ হবে’।
এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাশিয়ার অনারারি কনসাল আশিক ইমরান এবং কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।