বাংলাদেশকে অন্যের চোখ দিয়ে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র

3

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এ সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না। এ সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ব্যবস্থাতে যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ ও মুক্ত নীতি’র বাস্তবায়ন দেখতে চায় বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘অবাধ ও মুক্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সেই সঙ্গে দেশ ও অঞ্চলকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। তাই রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অবাধ ও মুক্ত নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করি।
এক প্রশ্নের উত্তরে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছি যে, ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটি সত্যি নয়। আমরা যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি, তাহলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এটি সরকার, গণমাধ্যমসহ সবাইকে জোর দিয়েই বলছি।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটা বহুমাত্রিক। আইপিএস এ সম্পর্কে কী মাত্রা যোগ করেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০ সমর্থন করে। এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আগের সহযোগিতাগুলো এগিয়ে নিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বাংলানিউজের।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের কোন দেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে, যেটি দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যপাদী আচরণ দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন, বিশ্বের বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এ অঞ্চলজুড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে এ অঞ্চল ঘিরে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলের অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি ও সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।