বাঁশখালী বদলি হওয়া উপজেলা প্রকৌশলী এখনো বহাল তবিয়তে!

14

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় একই পদে বদলি করা হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর এই বদলির আদেশ হলেও এখনো তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে বাঁশখালীতেই দায়িত্ব পালন করছেন। একই তারিখে পৃথক আদেশে তার স্থলে বাঁশখালীর সহকারী প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদকে উপজেলা প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের আদেশও কার্যকর হয়নি। দুটি আদেশই দিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুর রশীদ খান।
চট্টগ্রাম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, ‘উনাকে হেডকোয়ার্টার থেকে বদলি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের বদলির বিষয়গুলো হেডকোয়ার্টার থেকেই করা হয়। এখন কাউকে দায়িত্ব যদি দেয়া হয় অবশ্যই বদলিকৃত স্থানে চলে যেতে হবে।’
জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলীকে বদলির আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলা
পরিষদে অনুষ্ঠিত শিক্ষা কমিটির সভাতেও তিনি যোগ দিয়েছেন। আজ কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউজিডিপি) সভায়ও এই প্রকৌশলীর অংশ নেয়ার কথা। এর আগে এ উপজেলা প্রকৌশলী একবার বদলি হলেও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বাঁশখালীতে থেকে যান। এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ছনুয়ায় ছেলবন স্কুল ভবন নির্মাণ ও উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আছে। যা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন তদন্ত করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ছেলবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে নিম্নমানের লোহা ব্যবহারের প্রমাণ মিলে।
বাঁশখালী উপজেলার বদলিকৃত প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া পূর্বদেশকে বলেন, ‘অনেকদিন আপনাদের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। এখন বান্দরবানে দিয়েছে। হয়তো একজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিবে। আগামী সপ্তাহেই রিলিজ নিয়ে নিব।’