বাঁশখালীর কাথরিয়ায় স্বামী-স্ত্রী, ভাই-ভাই ‘কৌশলী’ প্রার্থী

19

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বামী-স্ত্রী, ভাই-ভাই প্রার্থী হয়েছেন। এরকম প্রার্থীদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বীতা না হলেও এদেরকে কৌশলী প্রার্থী হিসেবেই ধরে নিচ্ছেন ভোটাররা। চেয়ারম্যান পদে স্বামী-স্ত্রী প্রার্থী আছেন চার ইউনিয়নে, ভাই-ভাই প্রার্থীও আছেন চার ইউনিয়নে।
ভোটাররা বলছেন, মনোনয়ন বাতিলের শঙ্কায় এবং ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট সুবিধা পেতে প্রার্থীরা এমন কৌশল বেছে নিয়েছেন। বেশি এজেন্ট দিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব দেখাবে এসব প্রার্থীরা। এতে প্রার্থী সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি নির্বাচনী ব্যয়ও বাড়বে। তবে শেষ পর্যন্ত অনেকেই মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে পারেন। আগামী ২৬ মে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষদিন।
জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে গন্ডামারায় নির্বাচনী মাঠে আছেন বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লেয়াকত আলী। সেখানে লেয়াকত আলীর স্ত্রী জেসমিন আকতারও প্রার্থী হয়েছেন।
কালীপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহা. শাহদাত আলমের সাথে নির্বাচনী মাঠে আছেন তার ছোট ভাই এএনএম ফরহাদুল আলম। কাথরিয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইবনে আমিন ও তার স্ত্রী সেলিনা আকতার শেলী প্রার্থী হয়েছেন। পুুকুরিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী আসহাব উদ্দিন ও তার ছেলে জয়নাল আবেদীন প্রার্থী হয়েছেন। যদিও জয়নালের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সাধনপুরে সাবেক চেয়ারম্যান আহছান উল্লাহ চৌধুরীর সাথে প্রার্থী হয়েছেন তার ছোট ভাই আরিফ উল্লাহ চৌধুরী। খানখানাবাদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জসীম উদ্দিনের সাথে নির্বাচনী মাঠে আছেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। চাম্বলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর সাথে নির্বাচনী মাঠে আছেন তার স্ত্রী ছাদেকা বেগম নূরী। ছনুয়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদের সাথে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন তার ছোট ভাই আলমগীর কবির।
পুঁইছড়িতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাকের হোসেন চৌধুরী বাচ্চুর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। এভাবে কৌশলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বেশিরভাগ প্রার্থীই আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী।
দুইজন প্রার্থী জানান, এক প্রার্থীকে ঘায়েল করতে আরেক প্রার্থী সক্রিয় আছে। অনেকেই অভিযোগ দিয়ে আমাদের প্রার্থিতা বাতিলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এর ফলে একজন বাতিল হলে পরিবারের আরেকজন সদস্য যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে পারে সেজন্যে প্রার্থী করা হয়েছে।
বাঁশখালীর নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়সল আলম বলেন, কে কার স্ত্রী, কার ভাই এগুলো আমলে নেয়া হয়নি। আমাদের কাছে সবাই প্রার্থী। তবে আশা করবো সবাই ভোটের সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখবে।