বাঁশখালীতে সন্ত্রাসীরা কেটে নিল ২৫ গাছ

35

বাঁশখালীর রামদাসহাটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া পিতার সৎকার নিয়ে ব্যস্ত থাকাবস্থায় এক পরিবারের মালিকানাধীন ২৫টি গাছ কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
গত শনিবার গাছগুলো কেটে নেয়ার পর রামদাস হাট পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন গাছের মালিক তড়িৎ গুহ। পরে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় একটি স’মিল থেকে ২০টি গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রামদাসহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মামুন হাসান পূর্বদেশকে বলেন, বাবা অসুস্থ থাকাবস্থায় সবাই যখন হাসপাতালে ব্যস্ত, তখন গাছগুলো কাটা শুরু করে। যেদিন তাঁর পিতা মারা যায় সেদিনই গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। ৩/৪জন মিলে গাছগুলো কর্তন করেছে। তাঁরা জায়গাটি বায়না করেছে দাবি করলেও আমরা জানতে পেয়েছি জায়গা ও গাছের মালিক তড়িৎ গুহ। অভিযোগ পেয়ে ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ গাছ উদ্ধার করেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগকারী তড়িৎ গুহ পূর্বদেশকে বলেন, স্থানীয় তৌহিদ, মোরশেদ, দুদু, গফুর মিলে ২৫টি ম্যালেরিয়া গাছ (ইউকিলিপটাস) কেটে নিয়ে রামদাসহাট ও মিয়ার বাজার স’মিলে পাচার করেছে। আমার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রামদাসহাট লোকমানের স’মিল থেকে ২০টি গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করেছে। বাকিগুলো উদ্ধার করতে অভিযান চালাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবা অসুস্থ থাকায় আমরা সবাই শহরে ছিলাম। গত শনিবার বাবা মারা গেলে সন্ধ্যায় সৎকার করি। আমরা যখন বাবার সৎকার নিয়ে ব্যস্ত তখনি গাছগুলো কেটে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
রামদাসহাট স’মিলের মালিক লোকমান বলেন, স্থানীয় সিরাজের ছেলে গাছগুলো নিজের বলে বিক্রি করেছে। দুইমাস আগে গাছগুলো জলদীর বাদশাকে কিনে দিয়েছি। আমার স’মিলে মাত্র কয়েকটা গাছ রেখেছি। যারা গাছ বিক্রি করছে তাদেরকে তখনি গাছগুলো তড়িতের বলে জানিয়েছিলাম। তখন ওরা আমাদের জানায় তড়িতের গাছ অন্যদিকে। আমি গাছ কাটা ও বিক্রির সাথে জড়িত নই। শুধুমাত্র মিডিয়া করেছি। দুইমাস আগে গাছগুলো কিনা হলেও অভিযোগকারীর বাবা যেদিন মারা গেছে সেদিন কেন কাটা হলো জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।