বাঁশখালীতে মেম্বারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

26

বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলমগীর প্রকাশ বাদশা’র বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। গত ৩০ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলাটি দায়ের হলেও সম্প্রতি তা জানাজানি হয়। আদালতের আদেশে বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই। আগামী ২৮ আগস্ট মামলাটি আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, মামলার বাদী পিতার বাড়িতে একা বসবাস করতেন। বাদী ও আসামির বাড়ি একই ওয়ার্ডে। গত ২৩ এপ্রিল বিবাহের প্রলোভনে বাদীকে কয়েকবার ধর্ষণ করেন ইউপি সদস্য বাদশা। পরে গত ২৪ জুন বাণীগ্রাম কাঁচা বাজার এলাকায় বিবাহের দাবি জানালে ওই মহিলাকে মারধর করেন বাদশা। ঘটনার পর বাদি আদালতে হাজির হয়ে বাদশা মেম্বারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি এলাকায় প্রচার থাকলেও মামলা হওয়ার বিষয়টি এতদিন গোপন ছিল। সম্প্রতি ইউপি সদস্য বাদশা বাদীর স্বজনদের নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেন। বাদীর অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বাঁশখালীর একজন চেয়ারম্যানের সহায়তায় উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসার কথা চুড়ান্ত হয়।
মামলার আসামি মো. আলমগীর প্রকাশ বাদশা পূর্বদেশকে বলেন, ‘ঘটনাটি সাজানো। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। আমি বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছি। আপনাদের সহযোগিতাও দরকার।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই উপ-পরিদর্শক মোজাম্মেল হক পূর্বদেশকে বলেন, ভিকটিমকে মেডিকেল চেকআপ করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে পাইনি। ভিকটিমের স্বজনদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা সহযোগিতা করেনি। এখন আবারো যাবো। কেউ এমন ঘটনার মীমাংসা করলে নিজেরাই আটকে যাবেন। এসব ঘটনা একমাত্র আদালতেই মীমাংসা হতে পারে।