বাঁশখালীতে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে মোজাহেরুল হক চৌধুরীর ভূমিকা স্মরণীয়

84

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, মোজাহেরুল হক চৌধুরী একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে দেশ মাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকারী এবং চট্টল দরদী মানুষ। সকল প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিল তার শক্তিশালী অবস্থান। অত্যন্ত সৎ ও ন্যায়পরায়ণ এ মানুষটি ছিলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি। বাঁশখালী বিএনপিকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে মোজাহেরুল হক চৌধুরীর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি ছিলেন দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। দলের জন্য মোজাহেরুল হক চৌধুরীর অবদান বিএনপি আজীবন স্মরণে রাখবে। তিনি গত বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর সিএমইউজে মিলনায়তনে মোজাহের-মরজান স্মৃতি কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা মোজাহেরুল হক চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক জীবনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে মোজাহেরুল হক চৌধুরী ছিলেন শ্রদ্ধার মানুষ। বর্তমান সময়ে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে মোজাহেরুল হক চৌধুরীর মত নেতার খুবই প্রয়োজন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, মোজাহেরুল হক চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এক অনুপ্রাণিত নেতা। তিনি তার জীবনে রাজনৈতিকভাবে অনেক সফলতা অর্জন করেছেন। তার ত্যাগ, শ্রম ও মেধার মধ্য দিয়ে তিনি বাঁশখালীর মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন। রাজনীতির মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, মোজাহেরুল হক চৌধুরী পরিচ্ছন্ন একজন নেতা হিসেবে এলাকার জন্য সব সময় কাজ করে গেছেন। একজন সজ্জন মানুষ হিসেব তিনি সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। আজ তার অনুপস্থিতি আমাদের মাঝে একটি শূন্যতা সৃষ্টি করেছে যা পূরণ হবার নয়। মোজাহেরুল হক চৌধুরী তার কর্মের মাধ্যমে আজীবন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন বাঁশখালীর মানুষের হৃদয়ের মাঝে।
মোজাহের-মরজান স্মৃতি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মারুফুল হক চৌধুরী মারুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজী মোহাম্মদ আলী, এডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি। মোজাহের-মরজান স্মৃতি কল্যাণ পরিষদেও উপদেষ্টা কে এম আনিসুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম হোছাইনী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, চবি শিক্ষক অধ্যাপক শাহ আলম, মহানগর বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এম আই চৌধুরী মামুন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহ-আপ্যায়ন সম্পাদক আবদুল আজিজ, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীন, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, নগর বিএনপি সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, মো. জসিম, কাউন্সিলর এ কে এম আরিফুল ইসলাম ডিউক, দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খান, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, নূর হোসেন নুরু, আবু ফয়েজ, নগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা তৌহিদুস সালাম নিশাদ, আবদুল জলিল, দিদারুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আনু, নগর কোকো স্মৃতির সভাপতি হাসান রুবেল, নগর ছাত্রদল নেতা আলিফ উদ্দিন রুবেল, মো. আসাদ, সফিউল আলম, জসিম উদ্দিন হিমেল, এন মোহাম্মদ রিমন, মো. আরিফ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি