বাঁশখালীতে জোরপূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টা

70

বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নে জোরপূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল বিকাল ৩ টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পুরো জায়গা দখলে নিয়ে ঘিরে ফেলে সন্ত্রাসীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও জায়গাটির কিছু অংশ দখলমুক্ত করে। জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু পরিবারের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত জায়গার মালিক নীল ধরের ছেলে টিটু ধর পূর্বদেশকে বলেন, আমাদের ভিটেবাড়ি নিয়ে দশ গন্ডার জায়গাটির কিছু অংশ কম থাকায় আদালতে বি.এস সংশোধনী মামলা চলছে। এরমধ্যে কার কাছ থেকে জায়গা কিনেছে দাবি করে সন্ত্রাসী রহিমের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জায়গাটিতে ঘেরা দিয়ে ফেলে। দখলকৃত জায়গায় একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা আমার দাদি ও মাকে মারধর করে। বিষয়টি ইউএনও ম্যাডামকে তাৎক্ষণিক জানালে উনি পুলিশ পাঠিয়েছেন। পুলিশ আসলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। এখন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। রাতের বেলায় তারা নিজ থেকেই আবার সাইনবোর্ডটি সরিয়ে নেয় এবং খুঁটিগুলো নিয়ে যায়।
বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক বিমল কুমার দাশ পূর্বদেশকে বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে একটি পক্ষ জায়গায় গেলে আমি তাদেরকে সরিয়ে দিই। এরপরে কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি’।

বাঁশখালীতে কবর
থেকে তোলা হল
নারীর লাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনায় দাফনের তিনমাস পর কবর থেকে রুমা আক্তার (১৬) নামে এক নারীর লাশ তোলা হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে বাঁশখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল বশিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি তোলা হয়।
এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমানসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৯ এপ্রিল ভোরে গন্ডামারার নিজ বাড়ির পুকুর পাড় থেকে রুমা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহত্যা ভেবে লাশ দাফনও করা হয়। পরে ৩০ এপ্রিল ঘটনাটি নিয়ে বাঁশখালী আদালতে সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন রুমার পিতা নুরুল আমিন। আদালত মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করেন। গত ১৬ জুন সিআইডি কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশটি তোলার নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তৌহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বিয়ের প্রলোভনে রুমা আক্তারের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম শহরে অন্য এক মেয়ের সাথেও অবৈধ মেলামেশা করতে গিয়ে ধরা পড়ে। এরপর সেই মেয়েকে বিয়ে করেন। তৌহিদুল ইসলামের এমন বিয়ের প্রতিবাদ করেন রুমা আক্তার। একই সাথে তিনি অন্তঃসত্ত¡া বলে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে তৌহিদসহ কয়েকজন মিলে রুমাকে গলা টিপে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে দেন।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আদালতের আদেশে লাশটি তোলা হয়েছে। এ সময় একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও মামলার তদন্তে থাকা কর্মকর্তা ছাড়াও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বাঁশখালী থানা পুলিশ লাশ তুলতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।