বাঁশখালীতে ছেলে ধরা সন্দেহে ৪ ব্যক্তিকে গণপিটুনি

31

বাঁশখালীতে ছেলেধরা গুজব তুলে গণপিটুনির দুটি পৃথক ঘটনায় চারজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে বাহারছড়া ও সাধনপুর ইউনিয়নে এ দুটি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় উদ্ধারকৃত চারজনকেই পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বাহারছড়া ইউনিয়নের বশির উল্লাহ মিয়া হাটে মো. জনি (৩১), মো. সোহেল (৩২), হৃদয় হরণ (১৯) এবং একইদিন দুপুরে সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রামে শান্তি বিশ্বাস (৩২) ছেলেধরা সন্দেহে মারধরের শিকার হয়েছেন।
বাঁশখালী থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ছেলেধরা সন্দেহে মারধরের শিকার রোকসানা আক্তার মানসিক প্রতিবন্ধী। সে তার পরিচয় জানাতে পারেনি।
অন্যদিকে, জনি, সোহেল এবং হৃদয় হরণ বাঁশখালীতে ছাগল কিনতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন। জনির বাড়ি বোয়ালখালীর শাকপুরায়। সোহেল ও হৃদয় হরণের বাড়ি পটিয়ার বরলিয়ায়। শান্তি বিশ্বাসের বাড়ি সাতকানিয়ার কালিয়াইশ এলাকায়। মন্দিরে পূজা করার উদ্দেশ্যে তিনি বাণীগ্রাম এসেছিলেন।
আহত সোহেল বলেন, ছাগল কেনার জন্য বাঁশখালী এসেছিলাম। কিন্তু ছেলেধরা গুজব তুলে লোকজন আমাকে মারতে শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সময় মতো না পৌঁছালে আমাদের পিটিয়ে মেরেই ফেলত।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, এরা কেউই ছেলে ধরা নন। ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করা হচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এদেরকে উদ্ধার করে। সবাই থানা হেফাজতে রয়েছেন।