বাঁশখালীতে কাটা হচ্ছে সিরাজ মেম্বারের পাহাড়

115

বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ঝিঝি ফকির মাজারের পূর্ব পাশে সিরাজ মেম্বারের মালিকানাধীন পাহাড়টি কাটা হচ্ছে। দুই মাস ধরে প্রয়োজন অনুসারে ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড়টি কাটা হলেও এ নিয়ে ভ্রæক্ষেপ নেই কারও। এ ইউনিয়নে প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রচারণামূলক সভা হলেও স্থানীয়দের অসহায়ত্বে এর সুফল মিলেনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার পূর্বদেশকে বলেন, ‘কেউ অবৈধভাবে পাহাড় কাটলে ব্যবস্থা নিব। জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
স্থানীয়রা জানান, ঝিঝি ফকির মাজারের সামনের একটি ভবনের নীচতলা ভরাটে এই পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। পাহাড়ের মালিক সিরাজ মেম্বারের ছেলে নিয়াজুর রহমান প্রকাশ ইউনুছ পাহাড়টি কেটে উজাড় করছে। তিনি পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে জায়গাটি খালি করছেন। পাহাড়টি কাটার কারণে স্থানীয় ইউসুফের বাড়িটি পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে আছে। দিন-রাত প্রায় সময় এ পাহাড় থেকে মিনিট্রাকে করে মাটি নেওয়া হয়।
চলতি পথে দেখা হলে রেহেনা আক্তার নামে এক মহিলা বলেন, ‘বৃষ্টির আগে পাহাড়ের নিচ থেকে মাটি কাটা হয়েছে। বেশি বৃষ্টি হলে উপরের অংশ ভেঙে পড়ে। পরে ট্রাকে করে মাটিগুলো নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ভরাট করা হয়েছে। পাহাড়টি কাটতে কেউ বাধা দেয়নি। সবাই টাকা খেয়ে ম্যানেজ।’
সাধনপুর ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফেরদৌস উল হক পূর্বদেশকে বলেন, ‘পাহাড়ের মালিক সিরাজ মেম্বারের ছেলে ইউনুছ। পাহাড়টি কাটছে মিনিট্রাক মালিক হোছন। পুলিশকে কয়েকবার বলেছি। মিনিট্রাক মালিক হোছন পুলিশকে টাকা দেয়। আমি ইউএনওকে বলার অপেক্ষায় ছিলাম।’
এদিকে একই ইউনিয়নের সাহেবের হাট এলাকার পাহাড়ি ছড়ার আশপাশ এলাকা থেকে ব্যাপকহারে বালু উত্তোলন করছে একটি সিন্ডিকেট। প্রশাসনের বাধায় একবার বালু উত্তোলন বন্ধ হয়। এরপর পুনরায় সিন্ডিকেটটি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সক্রিয় হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কাছেই এ ছড়া থেকে বালু তোলা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল হক মেম্বারের ছেলে এরশাদ ও আশরাফ আলীর ছেলে আবুল বশর এ বালু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক। তারা দুইজন মিলে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে বালু বিক্রি করছে।