বাঁশখালীতে আগাম জাতের টমেটো চাষ

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালীর ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের টমেটো চাষ হয়েছে। আগামি সপ্তাহেই এ জাতের টমেটো বাজারে আসবে। আগাম জাতের হওয়া ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে এই টমেটোর দাম পাবে চাষীরা। গন্ডামারা ও সরলের জমিতে এ টমেটোর চাষ হয়েছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতি কানি জমিতে এক লক্ষ টাকা খরচ করে আগাম জাতের টমেটো চাষে প্রায় দুই লক্ষ টাকা লভ্যাংশ মিলবে বলেই আশা করছেন কৃষকেরা।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবু সালেক পূর্বদেশকে বলেন, ‘বাঁশখালীর গন্ডামারা ও সরল ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের টমেটো চাষ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব টমেটো বাজারে আসবে। আগাম জাতের টমেটো হওয়ায় চাষীরা ভালো দাম পাবেন। রোপণের আড়াই মাসের মধ্যেই এ জাতের টমেটোর ফলন আসে। কৃষকদের মধ্যেও এই টমেটো চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আগাম টমেটো চাষে লাভ বেশি হলেও রোগ-বালাইয়ের ঝুঁকিও আছে। যে কারণে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়’।
এদিকে গতকাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান ও এডিডি (ক্রপ) মো. নাসিরুদ্দীন চৌধুরীসহ কর্মকর্তারা টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে শীতকালেই দেশীয় টমেটো বাজারে আসে। কিন্তু এ জাতের টেমেটো জুলাই-আগস্ট মাসে লাগানো হয়। আড়াই মাসের মধ্যেই এ জাতের টমেটোর ফলন আসে। এই টমেটো চাষে কারিগরি কিছু দিক আছে। আউশ ধান কাটার পরই আগাম জাতের টমেটো চাষ হয়। ধান কাটার পর হাল্কা কাদাযুক্ত মাটিতে এই টমেটো চাষ করলে ভালো ফলন হয়। যে কারণে গন্ডামারা ও সরলেই বেশি চাষ হয়েছে। এক কানি জমিতে এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে টমেটো বিক্রি করে দুই লক্ষ টাকার মতো আয় হয়। তবে এখনো পর্যন্ত যে কৃষক একবার টমেটো চাষ করেছে সে বারবারই করতে আগ্রহী হয়েছে।
আগাম জাতের টমেটো চাষ করা কৃষক মোজাম্মেল ও রেজাউল বলেন, ‘কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিয়ে আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আগামি সপ্তাহেই এ টমেটো বাজারে আসবে। স্বাভাবিক সময়ে আগে বাজারে আসার কারণে দামও ভালো মিলবে বলে আশা করছি’।