বাঁচার জন্য লড়ছে কবর থেকে উদ্ধারকৃত ভারতীয় নবজাতক

42

উত্তর ভারতে একটি মাটির পাত্রে জীবিত অবস্থায় কবর দেয়া যে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে এখন বাঁচার জন্য লড়াই করছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেপটিসেমিয়া এবং মারাত্মকভাবে কম প্লেটলেটের কারণে শিশুটি সার্বিক পরিস্থিতি গুরুতর বলে জানিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ রবি খান্না। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আমরা পাঁচ থেকে সাত দিন পরেই নিশ্চিতভাবে সেটা জানাতে পারব। বৃহস্পতিবার ঘটনাক্রমে নবজাতকের সন্ধান পেয়েছিলেন গ্রামের এক বাসিন্দা। নিজের অপরিপক্ব মৃত কন্যা শিশুকে কবর দিতে গিয়ে ওই নবজাতকের সন্ধান পান তিনি। হিন্দুরা সাধারণত তাদের মৃতদেহ পুড়িয়ে থাকে করে তবে নবজাতক এবং ছোট শিশুদের প্রায়শই কবর দেওয়া হয়। জীবিত শিশুকে এভাবে কবর দেওয়ার কারণ সম্পর্কে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি, তবে লিঙ্গ বৈষম্যের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান খুবই খারাপ। নারীদের প্রায়শই সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার হন এবং মেয়েদের একটি আর্থিক বোঝা হিসাবে দেখা হয়, বিশেষত দরিদ্র স¤প্রদায়ে। পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে এবং বলেছে যে তারা এই কন্যা নবজাতকের বাবা-মাকে খুঁজছে।
বারেইলি জেলার সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা অভিনন্দন সিং বিবিসিকে বলেছেন, শিশুটিকে কবর দেওয়ার পেছনে তিনি শিশুটির বাবা-মায়ের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ করছেন কারণ ‘এই ঘটনাটি ব্যাপক প্রচারিত হওয়ার পরেও কেউই এই শিশুটিকে তাদের সন্তান দাবি করতে এগিয়ে আসেনি’। অভিনন্দন সিং বলেন, তারা যখন মাটির নীচে প্রায় ৩ ফুট (৯০ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত খনন করছিলেন, তখন তাদের কোদালটি একটি মাটির পাত্রে আঘাত করে এবং সেই আঘাতে পাত্রটি ভেঙে যায় এবং তারা একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। যখন তারা পাত্রটি টেনে ওপরে তুলে আনেন তখন এর ভেতরে তারা ওই শিশুটিকে দেখেন।