বহাল থাকবে কেন্দ্রসংখ্যা বাড়বে ২৫৩০ ভোটকক্ষ

44

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা কেন্দ্রগুলোতেই পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রতিটি ভোটকক্ষের (বুথ) সংখ্যা বাড়বে।
জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্র ও বুথের সংখ্যা নির্ধারণ করে ইসিতে খসড়া তালিকা পাঠিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস। তালিকায় পরিবর্তন না আসলে চট্টগ্রাম জেলার ১৪ উপজেলার ১২৯৫টি ভোটকেন্দ্রের ৯৫১৮টি কক্ষে ভোট প্রদান করবেন ৩৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৬৩ ভোটার। বিগত জাতীয় নির্বাচনে এ ১৪ উপজেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বহাল থাকলেও কক্ষ সংখ্যা ছিল ৬৯৮৮টি। চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান পূর্বদেশকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে ভোটকেন্দ্র ও বুথের সম্ভাব্য সংখ্যা ইসিতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে, উপজেলাতেও একই কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ করা হবে। নতুন করে কোন ভোটকেন্দ্র বাড়ানো হয়নি। তবে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই বুথ সংখ্যা বাড়বে। যেহেতু তিনটি ব্যালটে নির্বাচন হবে, তাই বুথের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।’
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হওয়া জেলার ১৪ উপজেলায় ৯৫১৮টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে ২৫৩০টি বাড়তি রাখা হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলাতেই ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ছে। মিরসরাইয়ে ২১৪টি, ফটিকছড়িতে ৩১৮টি, স›দ্বীপে ৪৮টি, সীতাকুÐে ২২৯টি, হাটহাজারীতে ২২৬টি, রাউজানে ৩০৩টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৪৭টি, বোয়ালখালীতে ২২৫টি, পটিয়ায় ৮০টি, আনোয়ারায় ১৪৯টি, চন্দনাইশে ১২৪টি, সাতকানিয়ায় ২২৪টি, লোহাগাড়ায় ১৭৩টি, বাঁশখালীতে ১৭০টি ভোটকক্ষ বাড়ানো হচ্ছে।
ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়ানো হলেও আগের মতো ১২৯৫টি কেন্দ্রেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮১জন পুরুষ ও ১৭ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৮২জন মহিলা মিলিয়ে ৩৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৬৩ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ইতিমধ্যে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির কাজও সম্পন্ন করেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে প্যানেল চূড়ান্তের চিঠি আসলেই বিভিন্ন দপ্তরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া হবে। এরমধ্যে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের মনোনয়ন চূড়ান্ত হলেই উপজেলা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ ও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছয়ধাপে এবারও উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এর ১৭ (১) (গ) ধারা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের প্রথম সভা থেকেই মেয়াদ শুরু। মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে নির্বাচন কমিশন যে কোন সময় তফসিল ঘোষণা করতে পারে।