বসুন্ধরা-যমুনা কোনো শপিংমল খুলছে না

62

ঈদের আগে সরকার শপিং মলগুলো খোলার সুযোগ দিলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে খুলছে না রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্ক। গতকাল বুধবার ঢাকার এই দুটি শপিং মলের কর্তৃপক্ষ না খোলার সিদ্ধান্তটি জানিয়েছেন।
কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যে এক মাস বন্ধ থাকার পর গত সোমবার সরকার শপিং মলগুলো ১০ মে থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখার অনুমতি দেয়। যখন দেশে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তখন শপিং মলগুলো খুলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সমালোচনার মুখে পড়েছে। খবর বিডিনিউজের
বসুন্ধরা গ্রূপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বসুন্ধরা গ্রূপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শপিং মলটি না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আবু তৈয়ব বলেন, এই (বসুন্ধরা সিটি) শপিং মলে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ কেনাকাটার জন্য আসে। ঈদের আগে আরও বাড়ে। এই মহাসঙ্কটের সময়ে আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না। ‘আগে মানুষের জীবন, তারপর ব্যবসা’ এই উপলব্ধি থেকেই আমরা শপিং মল না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বসুন্ধরা গ্রূপ ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য তাদের কনভেনশন সেন্টারকে দেশের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছে।
আবু তৈয়ব বলেন, বসুন্ধরা সব সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকে। মানবতার কথা চিন্তা করেই বসুন্ধরা গ্রূপের চেয়ারম্যান এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। করোনা ভাইরাস মহামারীর শুরু থেকেই তিনি মানুষের পাশে আছেন। শপিং মল না খোলা তার আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
যমুনা ফিউচার পার্কে মালিকানা কর্তৃপক্ষ যমুনা গ্রূপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, এই মহামারীর সময়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না আমরা। সে কারণেই এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর খুলব।