বসুন্ধরা কিংসের অগ্নিপরীক্ষা আজ

38

ড্র হলেও চলবে না। হার তো নয়ই। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে কিংসদের সামনে কেবল পথ একটাই, জয়। এমন সমীকরণের চাপ নিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টে গ্রæপ ‘বি’র শেষ ম্যাচে আজ মালয়েশিয়ান দল তেরেঙ্গানু এফসির মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।
এমন পরীক্ষায় দলটির ডাগআউটে থাকছেন না হেড কোচ অস্কার ব্রুজেন। চেন্নাই সিটির বিপক্ষে আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় গ্যালারিতে বসেই খেলা দেখতে হবে তাকে। শনিবার ডাগআউট সামলাবেন মাহাবুব হোসেন রক্সি। শুক্রবার অনুশীলনেও মূলত তিনিই কোচিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন।
হেড কোচ না থাকায় বসুন্ধরার মতো তারকাবহুল দলকে সামলাতে কতটুকু প্রস্তুত রক্সি? জাতীয় বয়সভিত্তিক দল সামলানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলারের দাবি- অস্কারের অনুপস্থিতি কোনো প্রভাবই ফেলবে না দলের খেলায়, ‘অতীতে আমি জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছি। এখন ক্লাব ফুটবলে কাজ করছি। এটা আন্তর্জাতিক একটা ম্যাচ। একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচে যে চাপ সেটা সামলানোর মতো অভিজ্ঞতা আমার আছে।’
চেন্নাই ম্যাচে জয়ের ধারায় ফিরতে জাতীয় দলের চার ফুটবলারকে একাদশের বাইরে রেখেছিলেন অস্কার। খেলিয়েছিলেন আগের মৌসুমের কৌশলে। দলে ছিল মিডফিল্ডারের ছড়াছড়ি। প্রথাগত ডিফেন্ডার বলতে রাখা হয়েছিল মাত্র দুজনকে। সেই দলটা থেকে আবারও পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন রক্সি। আসতে পারে তিন থেকে চারটি পর্যন্ত পরিবর্তন।
তেরেঙ্গানু দলে আছেন ব্রিটিশ ফুটবলার লি টাক। এক মৌসুম বাংলাদেশে খেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকায় এ ব্রিটিশ মিডফিল্ডারই হয়ে উঠতে পারেন বসুন্ধরার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। লি টাকের জন্য আলাদা পরিকল্পনা আছে বলেও জানালেন রক্সি।
মালয়েশিয়ান লিগে সপ্তম স্থানে থেকে শেষ করলেও বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেয় তেরেঙ্গানু। বসুন্ধরার খেলার ধরনও একই। দুদলের একই ধরনের খেলায় সাবধানী থাকতে চান কিংসদের জাতীয় দল মিডফিল্ডার রবিউল হাসান, ‘কালকে যেন প্লাস প্লাসে মাইনাস না হয়ে যায়। আমরা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলি। তেরেঙ্গানুও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। আমাদের খেলার ধরনই হচ্ছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। কোচ অস্কারও এভাবেই ফুটবল খেলতে পছন্দ করেন।’
শুরুতে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি হিসেবে নিলেও শেখ কামাল কাপে জয়ের জন্যই ঝাঁপাতে চায় বসুন্ধরা। বেশ বিতর্কিত হলেও আগের ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে পাওয়া জয়ের অভ্যাসকে ধরে রাখার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী রবিউল, ‘আমাদের আসলে একটা জয়ের মনোভাব দরকার ছিল। আমরা সেটা পেরেছি। আগামীকাল যে ম্যাচটা হবে আশা করি আগের ম্যাচের যে ধারাবাহিকতা সেখানেও ধরে রাখতে পারবো।’
‘আমরা মাঠেই নামবো জেতার উদ্দেশ্যে। জয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প খোলা নাই। আর কোনো পরিকল্পনাও নাই। অনেকে এমন পরিস্থিতিতে এক পয়েন্টের আশা করে। আমাদের সামনে এছাড়া কোনো পরিকল্পনা নাই। আমাদের যেকোনো মূল্যেই জিততে হবে।’
‘শেখ কামাল টুর্নামেন্টে আমাদের আসার আসল উদ্দেশ্য ছিল সমন্বয় বাড়ানোর জন্য। কিন্তু আমরা খেলোয়াড়রা সিদ্ধান্ত নিলাম শিরোপাটা আমাদের জেতা দরকার। জিততেই হবে এমন কোনো চাপ আমাদের উপর দেয়া ছিল না। তবে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এই শিরোপা দিয়ে আমরা একটা ভালো সূচনা দিতে চাই। যদি সূচনা ভালো হয় তবে শেষটাও ভালো হবে।’