সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার চায়না পাওয়ার কোম্পানির দুই সদস্যের প্রতিনিধি সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। সকালে টাইগারপাস সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চায়না পাওয়ার কোম্পানির ম্যানেজার হ্যানকুন পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরেন। এই কোম্পানি চট্টগ্রামে বাঁশখালী, চট্টগ্রামের বাইরে গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলমান বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো সম্পর্কে সিটি মেয়রকে ধারণা দেন মি. হ্যানকুন। এই প্রসঙ্গে তিনি নগরীর বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি থেকে উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করে সিটি মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রতিনিধিদলের নেতা হ্যানকুন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদনে চসিক থেকে ১০ একর জায়গা ও প্রতিদিন ১৫শত মেট্রিক টন বর্জ্য কামনা করেন। এই বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে প্রনিনিধিদলের নেতা বৈঠকে উল্লেখ করেন।
এই প্রকল্পের জন্য তারা ১৮০ মিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করবে বলেও প্রতিনিধিদলের নেতা তার উপস্থাপনায় ব্যক্ত করেন। চায়না পাওয়ার কোম্পানির প্রস্তাবকে একটি সময়োপযোগী প্রস্তাব উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দ্রুত সময়ের মধ্যে চায়না পাওয়ার কোম্পানিকে চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রদানের আহবান জানান। এই প্রস্তাবের পর সুবিধাজনক সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি অনুষ্ঠিত হবে বলে বৈঠকে মেয়র জানান। এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র নগরীর হালিশহর আনন্দবাজার এলাকায় চসিকের বর্জ্য ডাম্পিং-এর ১৪ একর জায়গার কথা উল্লেখ করে বলেন, এখানেই এই প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তাই প্রতিনিধিদলকে জায়গা ও বর্জ্য প্রদানে আশ্বস্থ করেন সিটি মেয়র। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সিটি মেয়র বলেন, পরিবেশসম্মত নগরী গড়তে চায় চসিক। কিন্তু দিনে দিনে ভাগাড়ে জমছে বর্জ্যরে পাহাড়। এখনই আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় না গেলে সংকট আরও বাড়বে। প্রতিদিন এই নগরীতে গৃহস্থালী বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২৫০০ মেট্রিক টন। কোনো ধরনের শোধন ছাড়াই দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে বাড়ছে বর্জ্যরে স্তূপ। এতে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে নগরীর ভেতরেও। তবে পুরো প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন হলে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি