বরেণ্য শিক্ষক কানু কুমার চৌধুরী

69

মুহাম্মদ ইসহাক

পৃথিবীর যে কোন দেশে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ও বিস্তার করার ক্ষেত্রে সৎ ও মেধাবী শিক্ষকের কোন বিকল্প নেই। এপিজে আবুল কালাম এর মতে, “তিনজনই পারেন একটি দেশ বা জাতিকে বদলাতে তাঁরা হলেন, বাবা, মা ও শিক্ষক।” বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কানু কুমার চৌধুরী মহেশখালীতে শিক্ষা প্রসারে ক্ষেত্রে তাঁর অবদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি অসাধারণ জ্ঞানপিপাসু, দক্ষ, মেধাবী, কর্মঠ ও পরিশ্রমী একজন শিক্ষক। তিনি শিক্ষকতাকে প্রধানত পেশা হিসেবে নয়, বরং নেশা ও ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। তাই কানু কুমার চৌধুরী জ্ঞান অর্জন ও বিতরণেই বেশি আনন্দ পেতেন। তিনি কলেজ পর্যায়ে আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন। তাঁর ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীরা খুব বেশি মনোযোগী থাকতো। তিনি রসায়ন বিজ্ঞানের মতো কঠিন ও জটিল বিষয় নিজের কৌশলে বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার উদাহরণ দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে সহজ করে উপস্থাপন করতেন। স্যারকে আমি দেখেছি, শিক্ষার্থীদের কখনো পিতৃরূপে, কখনো অভিভাবকরূপে এবং কখনো বন্ধুরূপে। কানু কুমার স্যার দীর্ঘ প্রায় ৩৪টি বছর জ্ঞান বিতরণ করেছেন মহেশখালী কলেজে। অধ্যাপক কানু কুমার চৌধুরী স্যারকে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় দেন গত ২৪ জুলাই ২০১৯ ইং। আমাদের প্রিয় এ স্যারের বিদায় উপলক্ষে এ ক্ষুদ্র লেখা। অধ্যাপক কানু কুমার চৌধুরী একজন আদর্শ শিক্ষক। কারণ যে কোন শিক্ষকের কাজ হল শিক্ষার্থীদের মননশীলতা ও সুপ্তপ্রতিভা আবিষ্কার করা। তিনি শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতা অর্জনে সহায়তা করতেন। শিক্ষার্থীদের মনে স্বপ্ন দেখাতেন। তিনি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে নানান কৌশল ও পরামর্শ দিতেন। তাঁর সামর্থ্য ও দক্ষতা দিয়ে যে কোন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতেন। তিনি অত্র কলেজের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক।
শিক্ষকতাকে যারা মনেপ্রাণে ধারণ ও গ্রহণ করেছেন তাঁরা পৃথিবীতে অমর হয়ে আছেন। জ্ঞান বিতরণে এ সমস্ত উদার মন মানসিকতা শিক্ষকদের কোন কার্পন্যতা লক্ষ্য করা যায় না। শিক্ষা ছাড়া কোন সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্র উন্নতির দিকে যেতে পারে না। আর এই শিক্ষা অর্জনে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেন শিক্ষক। অধ্যাপক কানু কুমার চৌধুরী হলেন এমন একজন শিক্ষক, যিনি পড়াশুনা এবং ক্লাসে সর্বদা সময় কাটাতে পছন্দ করেন। তিনি এমন একজন শিক্ষক, যিনি কথার চেয়ে কর্মে বিশ্বাসী। কারণ তাঁর শিক্ষকতার জীবনে সৎ, নির্লোভ, দায়িত্বশীল, কর্তব্যপরায়ন এবং অভিভাবকসুলভ আচরণ লক্ষ্য করা যায়। তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক। তিনি রাষ্ট্রীয় যে কোন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে নিজের মনের আনন্দে অংশগ্রহণ করতেন এবং শিক্ষার্থীদেরকে রাষ্ট্রের জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস ও নানা গুরুত্বপূর্ণ দিবসে অংশগ্রহনে উৎসাহ দিতেন। তিনি সহজ সরল জীবন যাপন করতেন। শহরের প্রতিষ্ঠানে অনেক সুযোগ সুবিধা থাকে। যাঁরা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন, তাঁরা নানা ক্ষেত্রে সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু কেউ স্বেচ্ছায় একেবারে গ্রামে বা যেখানে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা নাই, সেখানে সহজে কেউ যেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে কানু কুমার চৌধুরী একজন ব্যতিক্রম ব্যক্তিত্বের অধিকারী। কারণ তিনি শহরে পড়াশুনা করে এবং নগর জীবন ছেড়ে একমাত্র গ্রামীণ পরিবেশে নিজের জ্ঞান বিতরণে প্রতিষ্ঠানে চলে যান। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের চারদিকে সমুদ্রবেষ্ঠিত পাহাড়ী দ্বীপ হল মহেশখালী। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা হল মহেশখালী। মহেশখালী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। মহেশখালী কলেজটির প্রতিষ্ঠাকালীন যে কয়জন মহান শিক্ষকের অবদান রয়েছে তাঁর মধ্যে কানু কুমার চৌধুরী ছিলেন অন্যতম। তাকে অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক বলা যায়। কলেজটির প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখ করা যায় কলেজের সাবকে অধ্যক্ষ ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ জসীম উদ্দিন স্যার, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ভূইয়া স্যার। কলেজটির প্রতিষ্ঠার পরের বছর ১৯৮৬ সালের জানুয়ারিতে যোগদান করেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক পৃথি¦রাজ সাহ স্যার ও জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোঃ নবী স্যার। কলেজটি প্রতিষ্ঠা করার জন্য যাঁরা উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাঁরা মহৎ ও উদারতার পরিচয় দিয়েছেন। এই উদ্যোগ মহেশখালীকে আধুনিক শিক্ষা বিস্তারে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে। কারণ উপকূলীয় অঞ্চলকে শিক্ষায় সচেতন ও আলোকিত করার পেছনে এ কলেজের গুরুত্ব রয়েছে। কলেজটি যে সময় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তখন নানা সমস্যায় ছিল। কারণ উপকূলীয় অঞ্চলের কলেজ। এখানে ভালো শিক্ষক পাওয়া কঠিন ছিল। আর যাঁরা এ কলেজে শিক্ষকতায় আসতেন, তাঁদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা ছিলনা। অধ্যাপক কানু কুমার চৌধুরী প্রায় দীর্ঘ ৩৪ বছর এ কলেজে অধ্যাপনায় ছিলেন।
উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে মহেশখালী একটি দুর্যোগপ্রবল এলাকা। ঝড়, তুফান, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ¡াস, ভূমিকম্পসহ আরো নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ দ্বীপাঞ্চলের মানুষের নিত্যসঙ্গী। প্রাকৃতিক দূর্যোগ মানুষের জীবনযাত্রা এবং জীবনের নিরাপত্তার হুমকীর সম্মুখীন হয়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের কথা মনে থাকার কথা। কারণ এদিনে প্রকৃতি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে মহেশখালী অঞ্চলে লাশের পর লাশ, পশু ও প্রাণির মরদেহ, ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছিল। এ সময়েও স্যার কলেজের পাশে বাসায় থাকতেন। মহেশখালীর বিভিন্ন জায়গা থেকে যে সকল শিক্ষার্থী বিজ্ঞান শিক্ষা গ্রহণ করেছে সে ক্ষেত্রে তাঁর অবদান রয়েছে। এমনই অনেক ঘটনা রয়েছে, ক্লাসে স্যার একাই উপস্থিত থাকতেন কিন্তু শিক্ষার্থীরা ঠিক সময়ে আসতেন না। তিনি যেভাবে পাঠদান করতেন শিক্ষার্থীরা তা গ্রহণ করলে আর প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন থাকে না। স্যারের দীর্ঘ ৩৪ বছর শিক্ষকতার জীবনে এ কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কলেজের শিক্ষক, বেসরকারি কলেজের শিক্ষক, বিসিএস ক্যাডার, ব্যাংকার, ডাক্তার, প্রকৌশলীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন। মহেশখালী অঞ্চলকে শিক্ষায় আলোকিত করার পেছনে অধ্যাপক কানু কুমার চৌধুরী ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি ১৯৫৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এক হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নাম মনীন্দ্র চৌধুরী এবং মাতার নাম হীরন বালা চৌধুরী। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ধলই সরকারি প্রাইমারী বিদ্যালয় থেকে। তিনি ১৯৭৩ সালে কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি. পাস করেন। তিনি এস.এস.সি. পাস করার পরে নাজিরহাট কলেজে ভর্তি হন। তিনি ১৯৭৫ সালে নাজিরহাট কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. পাস করেন। এইচ.এস.সি. পাশ করার পর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের অনার্সে ভর্তি হন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ হতে ১৯৭৮ সালে বি.এস.সি. (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। উল্লেখ্য যে, অনার্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে। পরে উক্ত বিভাগ থেকে ১৯৭৯ সালে এম.এস.সি. ডিগ্রি লাভ করেন। আর এমএস.সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। তাঁর এম.এস.সি. ফলাফল প্রকাশের আগেই একটি হাই স্কুলে চাকুরীর সুযোগ পান। তিনি ১৯৮২ সালের অক্টোবর মাসে হাটহাজারী কাটিরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগদান করেন। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই বছর শিক্ষকতা করেন। তিনি মহেশখালী কলেজে ১৯৮৫ সালে ৭ অক্টোবর রসায়ন বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৫ সাল হতে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ দীর্ঘকাল এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপনায় ছিলেন।
কলেজের প্রতিষ্ঠা থেকে চাকুরী অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি কলেজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে ডিসেম্বর ২০১৩ ইং তারিখ পর্যন্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি প্রভাষক হতে সহকারী অধ্যাপকে পদে পদোন্নতি লাভ করেন ১৯৯৪ সালের জুলাই মাসে।
১৯৮৫ সালে মহেশখালী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মহেশখালীতে এস.এস.সি. স্তরে পড়াশুনার সুযোগ ছিল। তাই কলেজটি প্রতিষ্ঠার ফলে জনসাধারণ বেশি উপকৃত হয়। বিশেষ করে এলাকার নারীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য উপজেলার বাইরে যাওয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। তাই দেখা যায়, উক্ত কলেজে ডিগ্রি ও অনার্সের বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি ভর্তি হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা এবং বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কলেজটি বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি পাঠদানের অনুমতি লাভ করে। কারণ উপকূলীয় অঞ্চলে অনার্স ও ডিগ্রি স্তরে পড়াশুনা করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। আর এ কলেজকে ডিগ্রি ও অনার্স পর্যন্ত নেবার ক্ষেত্রে যার সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে তিনি অধ্যাপক বাবু কানু কুমার চৌধুরী। তাঁর সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা, ন্যায়নিষ্ঠতা, মেধা ও কর্মে কলেজকে অনেক উঁচু পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। মহেশখালী কলেজের ইতিহাসে এ কর্মবীর, সৃজনশীল ও দায়িত্বপরায়ন ব্যক্তি অধ্যাপক কানু কুমার চৌধুরী উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন। তিনি কলেজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের কর্মকাÐে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি সরকারিভাবে অবসর গ্রহণ করেন ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং। কলেজ কর্তৃপক্ষ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং পর্যন্ত তাকে পাঠদান করার সুযোগ দেন। যাঁর ফলে অসংখ্য মনোমুগ্ধকর ছাত্র/ছাত্রীরা জ্ঞান অর্জনে লাভ বান হয়েছেন। তিনি বিবাহে আবদ্ধ হন ১০ ফেব্রæয়ারি ১৯৮৯ সালে। তাঁর স্ত্রীর নাম রনিতা চৌধুরী। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁর মেয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পি.এইচ.ডি. প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। তাঁর স্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা হতে বি.এস.সি. (অনার্স) ও এম.এস.সি. ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর স্ত্রী ১৯৯৪ সালের ২০ ডিসেম্বর মহেশখালী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রদর্শক পদে যোগদান করেন এবং উক্ত কলেজে কর্মরত আছেন। স্যারের স্ত্রী ও আমার সরাসরি শিক্ষক। ম্যাডাম অত্যন্ত সুন্দরভাবে ও অভিজ্ঞতার আলোকে বিজ্ঞানের ব্যবহারিক ক্লাস গুলো পাঠদান করতেন।
ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং আদিনাথ মন্দিরের পাশে রামকৃষ্ণ মিশনের সাথেও সম্পৃক্ত আছেন। মহেশখালী কলেজ ২৪ জুলাই ২০১৯ ইং একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অধ্যাপক কানু কুমার চৌধুরীকে বিদায় দেন। তিনি ছাত্র/ছাত্রী, সহকর্মী ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্নেহ, আদর, ভালবাসতেন। তিনি একজন পরোপকারী ব্যক্তি। অন্যের খুশিতে তিনি আনন্দ পেতেন। তিনি হিংসা, বিদ্ধেষ ও দুর্নীতিকে মনে প্রাণে ঘৃণা করতেন। উক্ত অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ, কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও আরো বিভিন্ন শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন। মহেশখালীর ইতিহাসে শিক্ষা ক্ষেত্রে অধ্যাপক কানু কুমার চৌধুরী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, চ.বি.