বরিশালের রানের পাহাড় টপকে সিলেটের দুর্দান্ত জয়

16

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

বিপিএলের চতুর্থ ম্যাচে অবশেষে রানের দেখা পাওয়া গেল। তাও ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। টি-টোয়েন্টিতে বেশ কঠিনই বলতে হবে। তবে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল হাল ছাড়লো না। বরিশালের দেওয়া পাহাড়সম রান সহজেই টপকে গেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হ্রদয় এবং জাকির হাসানের ব্যাটে ভর করে ১ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুশফিকুর রহিমের দল।
গতকাল মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসান, চতুরাঙ্গা ডি সিলভাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রান করে ফরচুন বরিশাল। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৬ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই টানা দ্বিতীয় জয় পেয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
বড় রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কলিন অ্যাকারম্যান (১) রানআউট হলে ধাক্কা খায় সিলেট। তবে দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত আর তৌহিদ হৃদয় ৬৭ বলে ১০১ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান।
৪০ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৪৮ রান করে রানআউটের ফাঁদে পড়েন শান্ত। হাফসেঞ্চুরিয়ান তৌহিদ হৃদয় ৩৪ বলে ৭ চার আর ১ ছক্কায় করেন ৫৪।
এরপর ১৮ বলে ৪৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন কদিন আগেই জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া জাকির হাসান। যে ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটার। শেষটা করেছেন মুশফিকুর রহিম আর থিসারা পেরেরা। মুশফিক ১১ বলে ২৩ আর ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করা পেরেরা ৯ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের হয়ে চতুরাঙ্গা ডি সিলভা ও করিম জান্নাত একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার। ওপেনিং জুটিতে মাত্র ৭.২ ওভারে আসে ৬৭ রান। ২১ বলে ২৯ রানে আউট হন এনামুল হক বিজয়। আর ২৫ বলে ৩৫ রান করেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা।
এরপর ১০ বলে ১৩ রানে ইফতেখার আউট হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট হাতে মিরপুরে ঝড় তুলেন সাকিব আল হাসান। রিয়াদ ১৩ রানে ফিরলেও থামেনি সাকিবের ব্যাট। মাত্র ২৬ বলে ফিফটি পূরণের পর শেষ ওভারের প্রথম বলে ৬৭ রানে আউট হন সাকিব। মাত্র ৩২ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি সাতটি চার ও চারটি ছয়ে সাজানো।
এদিকে ৩ রানে হায়দার আলি ও ১ রানে মেহেদী হাসান মিরাজ সাজঘরে ফেরেন। আর ১৭ রানে করিম জানাত ও শূন্যরানে কামরুল ইসলাম রাব্বি অপরাজিত থাকেন।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা। এছাড়া একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম, থিসারা পেরেরা ও রেজাউর রহমান রাজা।