বরমা ও ধোপাছড়ি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ থমকে আছে

116

বর্তমান সরকার গ্রামীণ বিচার ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল করতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে উপজেলার বরমা ও ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ফেরত নেয়ায় থমকে রয়েছে ভবন নির্মাণের কাজ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বরমা ও ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সিংহভাগ শেষ হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল বিশিষ্ট এ সকল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের জন্য ২৫ শতক জমি বরাদ্দ নিয়ে ভবনগুলো নির্মিত হচ্ছে। ভবনে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বসার স্থান, গ্রাম্য আদালতের এজলাস, আইসিটি কক্ষ, সচিব, কৃষি উপ-সহকারি, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণির ১৮টি কক্ষ রয়েছে। নীচ তলা ও দ্বিতীয় তলায় পৃথক বার্থরুম স্থাপনসহ ১টি গভীর নলকুপ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এ দুটি ভবন নির্মাণের জন্য স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট কার্যাদেশ দেন। কার্যাদেশ পেয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। যা গত বছর ২৫ মে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় পুনরায় আবেদনের মাধ্যমে সময় নিলেও তা করোনা ভাইরাসের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল নবী বলেছেন, ইতোমধ্যে ২টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ৮৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বরমা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ১ কোট ২৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৪৩ টাকা এবং ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫’শ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কাজের অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণ বরমায় ৩টি ধোপাছড়িতে ৪টি রানিং বিল উত্তোলন করেছেন। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ এর কারণে ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স বরাদ্দ থেকে ২০ লক্ষ আয় বাজেটের জন্য ফেরত নিয়ে যাওয়ায় কাজের গতি কমে যাবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তাছাড়া কাজ সম্পন্ন করতে চলতি বছর নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।