বরকলে গণহত্যার খুনিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

6

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটির প্রত্যন্ত দুর্গম বরকল উপজেলার ভূষণছড়া গণহত্যার বিচার ও ভূষণছড়ার নিরীহ চার শতাদিক বাঙালি হত্যার সাথে জড়িত সকল খুনীদের দ্রæত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। গত মঙ্গলবার রাঙামাটির ভূষণছড়া গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, খুনিদের বিচার ওতিগ্রস্থদের পূর্ণবাসনের দাবিতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে এই দাবি জানান বক্তারা। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি পৌর কমিটির ব্যানারে ও উদ্যোগে মানববন্ধ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্বে করেন নাগরিক পরিষদ পৌরসভা কমিটির সভাপতি মো. ইব্রাহিম। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সাবেক বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র আলমগীর কবির। প্রধান অতিথি আলমগীর কবির বলেন, ১৯৮২ সালের পর হতে এই পর্যন্ত পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র দিয়ে যতগুলো হত্যাকান্ড হয়েছে সকল হত্যাকান্ডের বিচার ও নিহতদের প্রত্যেক স্বজনদের পুনঃবাসন করা হউক। সন্তু লারমা ২টি বিষয় নিয়ে সরকারের সাথে চুক্তি করেছেন সেই ২টি বিষয়ই বাস্তবায়ন করছে না সন্তু লারমা। অথচ সরকার চুক্তির বেশীর ধারা গুলোই বাস্তবায়ন করে ফেলছে। চুুক্তির ধারা মোতাবেক পাহাড়ে কোন অবৈধ অস্ত্র থাকার কথা নহে। চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ার কথা ও খুন হত্যা বন্ধ হওয়ার কথা। এসব তো প্রতিনিয়ত চলছে! পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মন্দির ও কেয়াং এর নামে সরকারী সম্পত্তি দখল করে আছে উপজাতিরা। তিনি আরো বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে তিন জন বাঙালি ভাইস চেয়ারম্যান, উন্নয়ন বোর্ডে একজন বাঙালি ভাইচ চেয়ারম্যান ও আঞ্চলিক পরিষদে একজন বাঙালি ভাইচ চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর মোল্লা, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদা আক্তার, পার্বত্য চট্টগ্রাাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাবীব আজম প্রমুখ।