বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বাণিজ্যের চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে

20

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমুদ্রপথে বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, প্রধান সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হলে, তা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত ও ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, এএম শফিউল করিম (খোকন), মো. হাসান (জ্যাকি) এবং এম এহসানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। তাই সঙ্গতভাবেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণও বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে, বর্ধিত বাণিজ্য প্রবাহ পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো অপরিহার্য।
তিনি বলেন, এটা সত্যি উৎসাহব্যঞ্জক যে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়ছে এবং আমরা আশা করছি আগামী দিনগুলোতে ব্যবসা আরও বাড়বে। কারণ, শিল্পে কমপ্লায়েন্সের প্রতিপালন, পণ্যের গুণগতমান এবং বাংলাদেশের সক্ষমতার কারণে পোশাক শিল্প বৈশ্বিক ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে। প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য সময়মতো পণ্যের জাহাজীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এ কারণে বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানো জরুরি।
বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে রপ্তানি আমদানি কার্যক্রম দ্রæততর করা ও নির্বিঘœ রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।
বিজিএমইএ নেতারা চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে গৃহীত সব পদক্ষেপের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তারা চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ও দক্ষতা বজায় রাখতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চলতি বছরের জুন মাসেই পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল চালু হবে। টার্মিনালটি চালু হলে বছরে সাড়ে ৪ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে বন্দরে ৫০ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার রাখার সক্ষমতা আছে। আর এখন ৩৯ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার রয়েছে। বর্তমানে বন্দরে কোনো কন্টেইনার জট নেই।