বছরের শেষটা রাঙাতে চান টাইগাররা

20

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

চলতি বছরের শুরুতে এসেছিল অভাবনীয় এক সাফল্য। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইতিহাস গড়ার পর পুরো বছরে লাল বলে আর জয় পায়নি সাকিব-মুশফিকরা। আজ ভারতের বিপক্ষে বছর শেষের টেস্টে ভালো করার প্রত্যয় টাইগার শিবিরে। রাজধানীর মিরপুরে ম্যাচটি শুরু আজ সকাল সাড়ে ৯টায়।
এর আগে গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রোটিয়া ফাস্ট বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড জানালেন, জয়ের স্বাদ নিয়ে বড় দিনের উৎসব করতে বাড়ি যেতে চান তিনি।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই করলেও তা কাজে আসেনি। হারতে হয়েছে বড় ব্যবধানেই। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে শান্ত’র ৬৭, জাকির হাসানের সেঞ্চুরি ও সাকিব আল হাসানের ৮৪ রানের সৌজন্যে বাংলাদেশ করে ৩২৪ রান। মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইকেটের আচরণ ভিন্ন হলেও আগের ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছেন ডোনাল্ড। আগের টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারেননি সাকিব। পাঁজরের চোট ও কাঁধের সমস্যার কারণে অস্বস্তি বোধ করছিলেন এ বাঁহাতি স্পিনার। তবে মিরপুরে আজ দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড নিশ্চিত করলেন, সাকিব বোলিং করবেন। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন তাসকিন আহমেদও থাকছেন শেষ ম্যাচে।
সাকিবের বোলিং নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় স্কোয়াডে যোগ করা হয় আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। পিঠের চোটের কারণে মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তাসকিন। চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ওয়ানডে খেললেও ছিলেন খরুচে। পুরোপুরি ফিট মনে হয়নি এই ফাস্ট বোলারকে। প্রথম টেস্টে তাকে খেলানো হয়নি ওয়ার্কলোডের কথা চিন্তা করে।
চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা খালেদ আহমেদের সঙ্গী ইবাদত হোসেন চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন। তাসকিন একাদশে ফিরলে রেজাউর রহমান রাজার অভিষেকের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হবে।
কিপিংয়ে ফিরতে পারেন লিটন দাস। সেক্ষেত্রে নুরুল হাসান সোহান জায়গা হারাতে পারেন। চট্টগ্রামে উভয় ইনিংসেই দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারা ইয়াসির আলি রাব্বিরও বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
শেষ হতে যাওয়া বছরটিতে বাংলাদেশ খেলেছে ৯টি টেস্ট। একটি জয় ও একটি ড্র ছাড়া সাফল্য নেই। বাকি সবগুলোতেই বড় বড় ব্যবধানে হার। বছর শুরুর মতো শেষটা জয়ে রাঙাতে পারলে হয়ত মাঝের আক্ষেপ ভুলতে পারবে বাংলাদেশ দল।
এই ম্যাচের পর বাংলাদেশ আবার মাঠে নামবে নতুন বছর ২০২৩ সালের মার্চে। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে টাইগার ডেরায় আসবে ইংল্যান্ড। মার্চের শেষ দিকে আসবে আয়ারল্যান্ড। টেস্ট দিয়ে শুরু হবে সিরিজ।
ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আবার বাংলাদেশের সিরিজ খেলার সুযোগ আসবে ২০২৫ সালের আগস্টে। থাকবে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ। থাকবে টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি।