বঙ্গবন্ধু টানেল: স্বপ্নের সেতুবন্ধন

79

নাজিমুদ্দীন শ্যামল

চীনের সাংহাই সিটির মতোই চট্টগ্রামে গড়ে উঠছে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকাজ শেষ হলেই চট্টগ্রাম মহানগরীর পাশাপাশি নদীর অপর তীরে আনোয়ারা-কর্ণফুলী এলাকায়ও গড়ে উঠবে আরও একটি নতুন বড় শহর। এখন নতুন এই শহরের অবকাঠামো একের পর এক নির্মিত হচ্ছে। দেশের আলোচিত এই মেগা প্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’। এটি নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। টানেলকে ঘিরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। দেশের ফাস্ট ট্র্যাক মেগা প্রকল্পের অন্যতম ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ ২০২২ সালের মধ্যে নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মিয়ানমার হয়ে প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযুক্তিসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। এ ধরনের পথ দেশের ইতিহাসে প্রথম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল হল কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত নির্মাণাধীন সড়ক সুড়ঙ্গ। এই সুড়ঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এই সুড়ঙ্গ মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে। বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার। এই সুড়ঙ্গটি নির্মাণ হলে এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ। চট্টগ্রামের কর্ণফুলির নদীর নিচে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল নির্মাণের জন্য চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কম্পানির (সিসিসিসি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে অনেক আগেই। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এরই মধ্যে চীন অর্থায়ন করবে প্রায় চার হাজার ৮০০ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেবে। কিন্তু প্রকল্প শুরু করতে দেরি হওয়ায় এবং নির্মাণের মেয়াদকাল ২০২২ সাল নির্ধারণ হয় ।
নকশা অনুযায়ী দৈর্ঘ্য হবে তিন হাজার পাঁচ মিটার বা তিন কিলোমিটারের চেয়ে সামান্য বেশি। চট্টগ্রাম নগরীর নেভাল একাডেমি পয়েন্ট দিয়ে তলদেশে ঢুকে তা বেরোবে ওপারে কর্ণফুলি ফার্টিলাইজার কম্পানি (কাফকো) এবং চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) মাঝামাঝি স্থান দিয়ে। মোট দুটি টিউব নির্মিত হবে। এর একটি দিয়ে গাড়ি শহরপ্রান্ত থেকে প্রবেশ করবে, আরেকটি টিউব দিয়ে ওপার থেকে শহরের দিকে আসবে। টানেলের প্রতিটি টিউব চওড়ায় হবে ১০ দশমিক ৮ মিটার বা ৩৫ ফুট এবং উচ্চতায় হবে ৪ দশমিক ৮ মিটার বা প্রায় ১৬ ফুট। একটি টিউবে বসানো হবে দুটি স্কেল। এর ওপর দিয়ে দুই লেনে গাড়ি চলাচল করবে। পাশে হবে একটি সার্ভিস টিউব। মাঝে ফাঁকা থাকবে ১১ মিটার। যেকোনো বড় যানবাহন দ্রæত স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারবে এই টানেল দিয়ে।
কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, ‘চীনের সুদক্ষ প্রকৌশলীদের দ্বারা অত্যন্ত দ্রæতগতিতে শেষ হতে চলছে কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজ। লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও টানেলের কাজ একদিনও বন্ধ ছিল না। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ৯৮ শতাংশ কাজ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্থানীয় শ্রমিক নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হলেও বাড়তি জনবল এবং অত্যাধুনিক নানা যন্ত্রপাতি, মেশিনারিজ সংযুক্ত করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে কর্ণফুলী টানেলের ভেতর দিয়ে গাড়ি চলাচলের লক্ষ্য নিয়ে কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে’।
২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এর ঢাকা সফরে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়াদি ঋণ হিসাবে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকার করছে। এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নের সুদের হার ২ শতাংশ। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পানির তলার সুড়ঙ্গপথটি কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রামের দূরত্ব কমাবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পরই এটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এই বঙ্গবন্ধু টানেল কক্সবাজারের সঙ্গে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে। কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের গাড়ি চট্টগ্রাম শহরকে এড়িয়ে সুড়ঙ্গপথ দিয়েই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে চলাচল করতে পারবে। তাহলে চট্টগ্রাম নগরীর যানজটও অনেকাংশে কমে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্ণফুলী টানেল শুধু দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে না। এর মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিল্প কারখানাসহ অর্থনৈতিক বিপ্লব সাধিত হবে। এছাড়া দেশের প্রধান পর্যটন এলাকাগুলোর মধ্যে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, বান্দরবানসহ পাহাড়, সমুদ্র ও নদীর এই ত্রিমাত্রিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সহজতর যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা রাখবে। টানেল নির্মাণকে কেন্দ্র করে কর্ণফুলী নদীর ওপারে বিনিয়োগ শুরু করেছে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। বর্তমানে নদীর ওপারে আংশিক চালু রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড। পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। টানেল নির্মাণের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকার আনোয়ারায় একটি ইকোনমিক জোন স্থাপন করছে। পাশাপাশি চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ‘চায়না ইকোনমিক জোন’ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
টানেল নির্মাণ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু টানেলের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ চালু হবে। বর্তমানে এই রুটে চলাচলকারী গাড়িগুলো কর্ণফুলি সেতু ও কালুরঘাট সেতু দিয়ে চলাচল করছে। এতে প্রতি গাড়িকে গড়ে ২০ মিনিট বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। টানেল দিয়ে পার হলে এ সময়টুকু বাঁচবে। ঢাকা থেকে পণ্যবাহী গাড়ি সরাসরি কক্সবাজার যেতে সময় ও দূরত্ব দুটিই কমবে। যানজট ছাড়াই নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছতে পারবে গন্তব্যে। মহেশখালী থেকে একটি গাড়ি টানেল দিয়ে সরাসরি ঢাকায় পৌঁছতে পারবে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ না করেই। কর্ণফুলির ওপার থেকে একজন ব্যবসায়ী ১০ মিনিটেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছতে পারবেন। এই যে স্বপ্নের টানেল, যার সুবিধাগুলোও স্বপ্নের মতো। চট্টগ্রামের মানুষ যা আগে স্বপ্নেও ভাবেনি তা এখন বাস্তবে দেখতে পাবে। এই টানেলের কাজ সম্পন্ন হলে নদীর এপার এবং ওপারের দুইটি শহর এক সিটিতে পরিণত হতে পারে। সর্বোপরি সৃষ্টি হবে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কর্মের সুযোগ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।
নির্মাণ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কর্ণফুলী টানেল নির্মিত হলে এর ফলে শিল্পোন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে, পর্যটন শিল্পের প্রবৃদ্ধি হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে, কর্মসংস্থানের ব্যাপক বৃদ্ধি হবে, রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে, দারিদ্র্যের অবসানের পাশাপাশি, জাতি সম্পূর্ণ আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি অনুভব করবে, জিডিপি-র উপর ব্যাপকভাবে অনুকূল প্রভাব ফেলবে, কর্ণফুলী টানেল এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত হবে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে একটি নতুন যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরি করবে, চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম বন্দর এবং পশ্চিম দিকে বিমানবন্দরের সাথে একটি সাধারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্মাণ করা হবে, পাশাপাশি প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত ও উন্নত করা হবে, পূর্বাঞ্চলীয় শিল্প থেকে চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দর এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের প্রক্রিয়া সহজতর করা হবে। ভ্রমণের সময় ও খরচও কমে যাবে।
টানেল রোডটি মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, আনোয়ারার চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, বে-টার্মিনাল এবং মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনালকে সংযুক্ত করবে। মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাবে। পরে এটি মিয়ানমার হয়ে চীনের কুনমিং সিটি পর্যন্ত স¤প্রসারিত হবে। চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার একে অপরের ১৫ কিলোমিটার কাছাকাছি হবে এবং রাজধানী ঢাকা ৫০ কিলোমিটার দূরে হবে। এই টানেলটি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর টার্মিনাল এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য সহজ সংযোগের অনুমতি দেবে। আনোয়ারা উপজেলায়, এক্সক্লুসিভ চাইনিজ ইকোনমিক জোন এবং কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের সক্ষমতা উলে­খযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হবে। সর্বোপরি, জাতির অর্থনীতি নতুন উচ্চতায় প্রসারিত হবে। উৎপাদন ও পর্যটন খাত আমূল রূপান্তর অনুভব করবে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, কর্ণফুলী টানেল যোগাযোগ ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরো বেগবান হবে। এই টানেলে বদলে যেতে পারে চট্টগ্রামের চেহারা। অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া ফেলবে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোটস অ্যাসোসিয়নের সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান বলেন, কর্ণফুলী টানেল শুধু চট্টগ্রামের জন্য নয় পুরো দেশের অর্থনৈতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কয়েকটি ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে কাজগুলো ¯েøা হচ্ছে। এগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরসন করে সঠিক সময়ে টানেলের কাজ শেষ হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এই বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর চট্টগ্রাম অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। নদীর ওই পাড়ে অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক শিল্পায়ন হবে। ইতোমধ্যে আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড আছে, চীনা অর্থনৈতিক জোনও শুরু হওয়ার পথে। টানেল হয়ে গেলে আরও অনেক শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। সেখানে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। আবাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। মোট কথা সেখানে উপশহর গড়ে উঠবে। এতে চট্টগ্রাম শহরের ওপর কিছুটা হলেও চাপ কমবে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের অর্থনীতির আকার বড় হবে। জিডিপি বাড়বে।’ ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে নির্বাচনি সমাবেশে এই টানেল নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে একনেক সভায় ‘কনস্ট্রাকশন অব মাল্টি লেন রোড টানেল আন্ডার দ্য রিভার কর্ণফুলী’ শীর্ষক টানেল প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২০ সালের জুন এবং ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। পরে প্রকল্পের মেয়াদ আড়াই বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। আর ১ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
লেখক : কবি, চলচিত্রকর্মী, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক