বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাচ্ছেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার দিচ্ছে সরকার।
আজ বুধবার সকাল ১০ টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কৃতদের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হবে; যেখানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, দুই বছরের পুরস্কারের তালিকায় তিনটি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক আছে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা দেওয়া হবে। স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদক প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা করে পাবেন।
‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষিতে জনশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিজয়ী সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কৃষি ক্ষেত্রে নানাভাবে অবদান রেখে চলেছেন। একইসাথে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা দেওয়ার ফলে কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে’।

১৪২৫ বঙ্গাব্দের পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
স্বর্ণপদক (১টি) : কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজে স্বর্ণপদক পাচ্ছেন বগুড়ার শেরপুরের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেনারি সার্জন ডা. মো. রায়হান।

রৌপ্যপদক (৭টি) : পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন/ব্যবহার ক্যাটাগরিতে পাচ্ছেন পিরোজপুরের নাজিরপুরের মো. বদরুল হায়দার বেপারী এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. হামিদুল হক।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে কৃষিতে নারীর অবদানের ক্ষেত্রে পাচ্ছেন ঝিনাইদহ সদরের শারমিন আক্তার।
প্রতিষ্ঠান/সমবায়/কৃষক পর্যায়ে উচ্চমানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও নার্সারি স্থাপনে অবদানের জন্য পাচ্ছেন পাবনার আটঘরিয়ার মো. দুলাল মৃধা।
বাণিজ্যিকভিত্তিক খামার স্থাপনে পাচ্ছেন সাভারের মো. কোঝাদ হোসাইন ও রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মো. মনিরুজ্জামান মনির।
প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছে প্যারামাউন্ট এগ্রো লিমিটেড। খবর বিডিনিউজের

ব্রোঞ্জ পদক (৭টি) : কৃষি গবেষণায় পাচ্ছেন রাজশাহীর তানোরের নুর মোহাম্মদ এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন/ব্যবহার ক্যাটাগরিতে পাচ্ছেন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার বারেক হাওলাদার।
কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পাচ্ছেন রংপুরের বুড়িহাটের হর্টিকালচার সেন্টারের মজিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের শফিকুল ইসলাম, নওগাঁর পোরশা উপজেলার গৌতম কুমার সাহা, রাজশাহীর পুঠিয়ার পূর্ণিমা বেগম এবং ঢাকার নবাবগঞ্জের নিপু ট্রেডার্স।
১৪২৬ বঙ্গাব্দের পুরস্কার পাচ্ছেন যারা

স্বর্ণপদক (২টি) : পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন/ব্যবহার ক্যাটাগরিতে পাচ্ছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগী চাষে পাচ্ছেন পাবনার ঈশ্বরদীর আমিরুল ইসলাম।

রৌপ্যপদক (৯টি) : ঢাকা শেরে বাংলা নগরের মুহাম্মদ রকিবুল আহসান রনি, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন, খুলনার খালিশপুরের হালিমা বেগম, যশোরের ঝিকরগাছার নাসরিন সুলতানা, সিলেটের আব্দুল হাই আজাদ বাবলা, মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার রফিকুল ইসলাম, খুলনা ডুমুরিয়ার আবুল হোসেন সরদার এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাবুল হোসেন।

ব্রোঞ্জপদক (১৮টি) : দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মকবুল হোসেন, সিরাজগঞ্জের সহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির মহালছরি হ্লাশিং মং চৌধুরী, ময়মনসিংহের গৌরীপুরের গাজী মামুদ, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের মাহবুবুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের রিনা বেগম, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোমরেজ আলী, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী, পাবনার ঈশ্বরদীর শাহীনুজ্জামান, বান্দরবানের তোও ঘোও ম্রো, ফেনীর মজিবুল হক, মুন্সীগঞ্জের সিরাজ খান, টাঙ্গাইলের মধুপুরের ছানোয়ার হোসেন, রাঙামাটির রাজস্থলির আবদুল আউয়াল, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের শাকিল মিয়া, নড়াইলের তনিমা আফরিন ও দিনাজপুরের রাখী দে।