বঙ্গবন্ধু : গ্রিক পুরাণের ফিনিক্স পাখি

108

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐের সঙ্গে সঙ্গেই ভিন্ন পথচলা শুরু হয় সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের। মুখথুবড়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, প্রশাসন থেকে রাজনীতি। সব জায়গায় জেঁকে বসে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের ভূত। জাতির পিতাকে হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশ বেতার হয়ে গিয়েছিল রেডিও বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’ বদলে যায় ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদে’। বছর না ঘুরতে জেলখানা থেকে স্বদম্ভে বেরিয়ে আসে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত প্রা ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, যাঁরা বিশ্বাস করতেন অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ তাঁদের জন্য শুরু হয় অন্ধকার কাল। ১৫ আগস্ট হত্যাকাÐের পর থেকেই একটানা চেষ্টা চলে বঙ্গবন্ধুকে ভুলিয়ে দেওয়ার। পাঠ্যপুস্তক থেকে মুছে ফেলা হয় বঙ্গবন্ধুর নাম। আওয়ামী লীগ-সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরে চলে ধারাবাহিক নির্যাতন।
ইতিহাস যাকে ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ হিসেবে তৈরি করেছিল এই কলঙ্কিত দিনেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে কৃতঘœ ঘাতকের দল তাকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। সেদিন বাংলাদেশের স্থপতি জনককেই তারা হত্যা করেনি কেবল, সেই সঙ্গে হত্যার চেষ্টা করেছিল বাঙালি ও বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে যে ঘৃণ্য ইতিহাস বিকৃতি চলেছে সেটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে এই চক্রান্তকারী গোষ্ঠী একটি রীতিমতো খোলা বিষয়ে পরিণত করে অপমান করেছে দেশের মুক্তির লক্ষ্যে জীবনদানকারী ত্রিশ লাখ বীর শহীদকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দীর্ঘ সময়ের সম্মিলিত সংগ্রামের ফসল। ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, সর্বশেষ ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু ভারতবর্ষের ইতিহাসের একমাত্র সফল আন্দোলনের নির্মাতাই ছিলেন না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি উপমহাদেশের সর্বকালে সব শহীদের ঋণ শোধ করেছেন। তিনিই তো একমাত্র নেতা যিনি একই সঙ্গে বাঙালির অতীত ও ভবিষ্যৎকে তাৎপর্যপূর্ণ করেছেন।
পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টের মধ্য দিয়ে যে ইতিতহাস বিকৃতির যুগ অতিবাহিত হয়ে আসছে প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিককেই এই বিকৃতির চক্রব্যুহ ভেদ করতে হবে। বাঙালির ইতিহাসের ভেতর দিয়ে বাঙালি আপন কথা বলে। বাঙালির ইতিহাস বাঙালির অস্তিত্বের উচ্চারণ। আর বঙ্গবন্ধু সর্বকালের বাঙালির আপনতম কণ্ঠ। তাই পনেরই আগস্টের বঙ্গবন্ধু নৃশংস হত্যাকাÐ বাঙালির কণ্ঠরোধ করারই শামিল। আর বাঙালি জাতীয়তাবাদেও প্রথম রূপকার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ভেতর দিয়ে ভ্রান্ত-কপট এক বিষাক্ত জাতীয়তাবাদের দিকে বাঙালিকে চালিত করার পথ প্রশস্ত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদও বস্তুত কোনো আকস্মিক বিষয় নয়। কোনো সেনাছাউনিতে এর জন্ম হয়নি। এর রয়েছে হাজার বছরের এক সেকুলার ইতিহাস। আমাদের মনে পড়বে বঙ্গবন্ধুকে যেদিন হত্যা করা হয় তার পরের দিন সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এর থেকে প্রমাণ হয় যে, ধর্মনিরপেক্ষতা যে জাতীয়তার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল বিশ্বেও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিসমূহ কোনো দিন তা সমর্থন করতে পারেনি। উল্লেখ্য, একাত্তরের ঘাতক গোলাম আযম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তখন পাকিস্তান ও সৌদি আরবে অবস্থান করছিল। আর তাদের দোসররা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সেøাগান দিচ্ছিল ‘তোয়াব ভাই, তোয়াব ভাই, চাঁদ-তারা পতাকা চাই’। এরা বাঙালির পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতকে পরিবর্তনেরও দাবি তুলে। কিন্তু বাঙালি স্বভাবগত সেকুলার। হিন্দু মুসলমানদের মিলনের ভেতর দিয়েই এর পূর্ণতা। বহু ধর্ম-দর্শনকে এটি নিজের উদারতা দিয়ে আপন করে নিয়েছে।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ হচ্ছে সেই সত্তা যাকে রামমোহন-বিদ্যাসাগর-বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-সোহরাওয়ার্দীর মতো মহান ব্যক্তিবর্গ নিজের মতো করে আকার দিয়েছেন, আর সেই মৃত্তিকামূর্তির আকারে এক কঠিন সন্ধিক্ষণে তাঁকে এই দায়িত্ব নিতে হয়েছিল।
বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি স্বচ্ছ-জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক কল্যাণ-রাষ্ট্র হিসেবে। পাকিস্তান আমলে এ দেশের মানুষকে ভোগ করতে হয়েছে কুৎসিত সামরিক একনায়কত্ব। ইতিহাসে সহজেই এর যুক্তি মিলবে- পনের আগস্টের হত্যাকাÐের মধ্য দিয়েই সূচিত হয়েছিল বাংলাদেশের দীর্ঘ সামারিক দুঃশাসনের। এরপর গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে চলেছে সামরিক মনোভাবের অপশাসন। নিরীহ জনগণের ওপর বারবার হয়েছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বাহিনীর জুলুম-নির্যাতন। বাংলাদেশের ভিত্তি যে শাসনতন্ত্র তা ভূলুণ্ঠিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয় তখনই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়। আরো পাঁচ মাস আগেই ১৯৭২ সালের ৭ জুন ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু যে বক্তৃতা করেন তাতে বাংলাদেশের সংবিধান বা শাসনতন্ত্র সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব ভাবনা সুস্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত হয়েছিল। তিনি ওই বক্তৃতায় বাংলাদেশের সংবিধানের চার স্তম্ভ সম্পর্কে বিশদ বলেন-
‘আমার বাংলার সভ্যতা, আমার বাঙালি জাতি, এ নিয়ে হলো বাঙালি জাতীয়তাবাদ। বাংলার বুকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ থাকবে।
বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। এ সমাজতন্ত্র আমি দুনিয়া থেকে ভাড়া করে আনতে চাই না, এ সমাজতন্ত্র হবে বাংলার মাটির সমাজতন্ত্র। এ সমাজতন্ত্র বাংলার মানুষের সমাজতন্ত্র। তার অর্থ হলো শোষণহীন সমাজ, সম্পদের সুষম বণ্টন। কিন্তু সমাজতন্ত্র সেখানে আছে যেখানে গণতন্ত্র নেই। দুনিয়ায় আমি বাংলার মাটি থেকে দেখাতে চাই যে, গণতন্ত্রের মাধ্যমে আমি সমাজতন্ত্র কায়েম করবো। আমি ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ধর্মনিরপেক্ষ মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান মুসলমানদের ধর্ম পালন করবে। হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে। খ্রিস্টান তার ধর্ম পালন করবে। বৌদ্ধও তার নিজের ধর্ম পালন করবে। এ মাটিতে ধর্মহীনতা নেই, ধর্মনিরপেক্ষতা আছে। এখানে ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না। ধর্মের নামে মানুষকে লুট করে যাওয়া চলবে না। ধর্মের নামে রাজনীতি করে রাজাকার, আলবদর পয়দা করা বাংলার বুকে আর চলবে না। সা¤প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেয়া হবে না।
তিনি সাধারণ পেশাজীবী রাজনীতিক ছিলেন না, ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জাতীয় নেতা। বঙ্গবন্ধু চিরকাল সংবিধানের চার স্তম্ভের ওপর জোর দিতেন। তাই তাঁকে হত্যা করে ঐ চার স্তম্ভকে বিকৃত করা হবে তা স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধুর উল্লিখিত ভাষণটি পড়ে অবাকই হতে হয় যে, তিনি কতটা সুদূরপ্রসারী চিন্তক ছিলেন। বস্তুত বাংলাদেশকে ও এ দেশের মানুষকে তাঁর চেয়ে ভালো কেউ চিনত না। ধর্মের নামে যে রাজাকার তৈরির প্রচেষ্টা আবারো হবে তা বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালেই বলেছিলেন। আর সেই বাস্তবতাই আজ প্রতিফলিত হয়েছে প্রয়াত অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ভাষায়-
‘১৯৭১-এ যারা পাকিস্তানিদের সাথে যোগ দিয়েছিল, তারাই শুধু রাজাকার, এ ধারণা বাদ দিতে হবে; স্বাধীনতার পর রাজাকারের সংখ্যা বেড়েছে। যারা প্রতিক্রিয়াশীল, ধর্মান্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করে, এখন তারাই রাজাকার। রাজাকার শুধু ব্যক্তি নয়, ধারণাও; আমি তো এখন দিকে দিকে রাজাকার দেখি, ১৯৭১-এ এত দখতাম না।” পঁচাত্তরের ঘাতকদেও প্রকৃত লক্ষ্য ছিল বাঙালি ও বাংলাদেশকে অভিভাবকহীন করা।
পনেরই আগস্টের ঘাতকরা এ কথা জানত, পেশিশক্তি প্রয়োগ না করলে বাংলাদেশ ও বাংলার জনগণের বুক থেকে আওয়ামী লীগকে উপড়ে ফেলা যাবে না। তাই একুশ বছর হীন চক্রান্ত কওে ঠেকিয়ে রাখা হয় আওয়ামী লীগকে। আবার কারচুপির নির্লজ্জ নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০১ সালে অগণাতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় বসে পঁচাত্তরের ঘাকতদের পৃষ্ঠপোষকরা। বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়াকেও তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিলম্বিত করেছে। একাত্তরের ঘাতকদের বসানো হয়েছে রাষ্ট্রক্ষমতায়। তাই পনেরই আগস্টের হত্যাকাÐকে বাংলাদেশের হত্যাকাÐই বলা চলে, বাংলাদেশের মূলনীতিগুলোকে হত্যা করার অপচেষ্টা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ইতিহাসের মহোত্তম ঘটনাসমূহের একটি। মানব ইতিহাসের এটি হয়ে থাকবে সম্ভবত সবচেয়ে শক্তিশালী দৃষ্টান্ত যাতে একজন মানুষকে আমরা দেখি একটি জাতিগত স্বপ্নের অবয়ব নিতে এবং সেই মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রত্যয় এতটাই গভীরে ছিল যে, তাঁকে উদ্দীপক উপস্থিতি রোধ করা যায়নি। পৃথিবীর ইতিহাসের এ ধরনের জাতীয় আন্দোলন অনেকেই হয়েছে। কিন্তু এরকম বাঁধন ছাড়া ভালোবাসা আর কোনো নেতা পাননি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বাঙালির কোনোদিন কোনো রাষ্ট্র ছিল না। বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দেয়ার কৃতিত্ব বাঙালি সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশে যে দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল বাস্তব পৃথিবীতে এরকম নজির মিলবে না। রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর যে শক্তিমত্তা ছিল তার সঙ্গে কারোরই তুলনা হতে পারে না। ভারতীয় সৈন্য ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে তিনি যে সুচারু দক্ষতা প্রদর্শন করেন তা পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রনায়কের পাঠ্য হতে পারে। গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো দক্ষ নেতাও পৃথিবীতে নেই।
বঙ্গবন্ধু বরাবরই সকল মানুষের কথা ভাবতেন। তিনি ব্যক্তি হিসেবে বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ খেটেখাওয়া মানুষের প্রতিনিধি ছিলেন। বাংলাদেশ নামক যে রাষ্ট্র তার ভৌগোলিক উপস্থিতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবনব্যাপী সাধনারই ফল। তাই, যে বাংলাদেশ জনগণের রাজনৈতিক সচেতনার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তাঁর রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বাংলাদেশ আর মুজিবকে আলাদা করা যাবে না। মুজিব হচ্ছে সেই সোনার কাঠি যা বাঙালি নামক ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়েছিল। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যা সেই জাতিকে ঘুম পাড়ানোর ঘৃণ্য অপচেষ্টা। কোনো জাতিকে যদি শৈশবেই দাবিয়ে রাখা হয় তাহলে পরিণত অবস্থায় সে জাতি ক্ষতধারা হবে এটাই স্বাভাবিক।
পনেরই আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমেই মৃত্যু ঘটে বাঙালি জাতির স্বপ্নের। ৩ নভেম্বর জাতীয় তিন নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়েও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও চিন্তার ধারাবাহিকতাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশকে এখন পুনঃপাকিস্তানিকরণ করে একটি উগ্র মৌলবাদী পশ্চাৎপদ মধ্যযুগীয় অকল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে অসুস্থ দ্বিজাতিতত্ত¡ভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তানকে ব্যর্থ করেই বাংলাদেশের অভ্যুদয়। তাই বাংলার আপামর জনতার ওপর আস্থা রেখে বলা যায় এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। কবির ভাষায়- ‘শোনো একটি মুজিবের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি’। হ্যাঁ আমরা সেই ধ্বনি শুনতে পাই। পিতার অপূর্ণ কাজ সম্পাদন করবে সন্তান। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আর লক্ষ মুজিব সেনা ধরে রাখবে বঙ্গবন্ধুর চেতনা। ব্যক্তির মৃত্যু হয় কিন্তু চেতনার মৃত্যু হয় না। তাই বঙ্গবন্ধুর দৈহিক তিরোধানই তাঁর মৃত্যু নয় বরং তাঁকে হত্যা করার এক অক্ষম প্রচেষ্টা মাত্র। আসুন সকলে মিলে ঐসব খুনিদের স্মরণ করিয়ে দেই বঙ্গবন্ধু হচ্ছে গ্রিক পুরাণের ফিনিক্স পাখি, যে বারবার আগুনের ভেতর থেকে জন্ম নেয়। ভস্ম হয়ে গেলেও মরে না।

লেখক : গবেষক ও প্রকাশক