বঙ্গবন্ধুর সকল প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গমাতা

16

পূর্বদেশ ডেস্ক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গমাতা ছিলেন নিরব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যিনি বঙ্গবন্ধুকে সার্বক্ষণিক সাহস অনুপ্রেরণা ও শক্তি যুগিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল প্রেরণার উৎস। ইতিহাসে ফজিলাতুন নেছা মুজিব কেবল একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিনীই নন, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে অন্যতম এক প্রেরণাদায়ী। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন এবং ছায়ার মত অনুসরণ করছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে। গতকাল সোমবার সকালে সিটি করপোরেশন সম্মেলন কক্ষে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে মহিয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন্নেছার সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, লায়ন মো. ইলিয়াছ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নুরুল আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, তসলিমা বেগম নুরজাহান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা ছিলেন বিজয়ীলক্ষী নারী, পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক নেতার হত্যাকান্ড ঘটেছে, কোনটাতেই নেতার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে এমন নজির নেই। বেগম মুজিব তো সক্রিয় রাজনীতি করতেন না, তাহলে কেন হত্যার শিকার হলেন? এটি উপলদ্ধির বিষয়। তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও তিনি সময়কে বুঝতেন। কোন সময় কি কাজ কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রয়োজন তা উপলদ্ধি করতে পারতেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন জেলখানায় ছিলেন, বেগম মুজিব তাকে কাগজ কলম দিয়ে এসেছিলেন, বলেছিলেন ‘আপনি লেখেন। পারবেন আপনি, আপনার অনেক কিছু লেখার আছে।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ যেমন বিশ্বের সেরা ভাষণ হিসেবে স্বৃীকৃতি পেয়েছে, তেমনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী একদিন সেরা আত্মজীবনী হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এই উপলদ্ধিতা বঙ্গবন্ধুকে আসল কর্মপন্থা গ্রহণ করতে সহায়ক হবে। বেগম মুজিব থেকে অনেক কিছুই শিক্ষা নেয়ার আছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার ৯২তম জন্মদিনে চসিকের অন্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাড়ে ৯টা খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত। মুনাজাত পরিচালনা করেন চসিক মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুনুর রশিদ চৌধুরী। এছাড়াও নগর ভবনে স্থাপিত বেগম ফজিলাতুন নেছার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

মহানগর আওয়ামী লীগ : মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, সংকট উত্তরণে একজন সহধর্মিনী হিসেবে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে যে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তা আমাদেরকে ধারণ করতে হবে। আমরা তাকে অন্তরে ধারণ করে নিজ এবং পাড়া প্রতিবেশীকে সম্পৃক্ত করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারি তাহলেই তার প্রতি যথার্থ সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন হবে। গতকাল সোমবার সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে বঙ্গমাতা ফজিলাতুনে নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনের দুঃসময়ে তিনি দলের নেতাকর্মীদের আগলে রেখে দেশের জন্য কাজ করার জন্য প্রাণিত করতেন। আমাদের ভাবতে হবে আন্তর্জাতিক বৈশ্বিক মন্দা ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় রক্ষার জন্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আ.জ.ম নাছির উদ্দিন আগস্ট মাসের মহানগর আওয়ামী লীগের মাসব্যপী কমসূচিকে প্রতিটি ইউনিট, ওয়ার্ড এবং থানায় থানায় যথাযোগ্য মর্যাদায় অবশ্যই পালন করার জন্য সাংগঠনিকভাবে নির্দেশনা প্রদান করেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদকমÐলীর সদস্য বদিউল আলম, আবদুচ ছালাম, হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মো. আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন খান, জাফর আলম চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, থানা আওয়ামী লীগের ফয়েজ আহমদ, সুলতান আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু তাহের, অধ্যাপক আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল বশর, মো. নুরুল আলম, জসিম উদ্দিন, আবদুল মোতালেব চৌধুরী। এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. সুনীল কুমার সরকার, এম জহিরুল আলম দোভাষ, উপদেষ্টা মো. শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকমÐলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, মো. হোসেন, জহুর আহমদ, মাহবুবুল হক মিয়া, দিদারুল আলম চৌধুরী, জোবাইদা নার্গিস খান, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, আবদুল আহাদ, ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, এড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, কামরুল হাসান ভুলু, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, মো. জাবেদ, মোরশেদ আকতার চৌধুরীসহ থানা এবং ওয়ার্ড সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহŸায়ক, য্গ্মু আহŸায়ক প্রমুখ। এর আগে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনোপলক্ষে থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে খতমে কোরআন, দোয়া, মিলাদ মাহফিল শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দারুল ফজল মার্কেটের পেশ ইমাম মাওলানা ফজল কবির। মিলাদ শেষে তবারুক বিতরণ করা হয়।