বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা স্বপ্ন নয়, বাস্তব

57

আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুননেসা ইন্দিরা এমপি বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ধাবিত হচ্ছিলেন, তখনই ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ৭১ এর পরাজিত শক্তি ও সাম্রাজ্যবাদের এদেশীয় এজেন্টরা তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছিল পাকিস্তানি ভাবধারায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্ধকারের অতল গহব্বর থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ রূপান্তর করে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা এখন শুধু স্বপ্ন নয়, বাস্তব।
তিনি গতকাল নগর মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই বুঝতে পেরেছিলেন, পরিপূর্ণ রাজনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন হবে না। তাই তিনি ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ৭১ এর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালিকে ডাক দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।’
বঙ্গবন্ধুকে কর্মীবান্ধব জননন্দিত মহানায়ক অভিহিত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্মীদের স্নেহ করতেন। তিনি মনে করতেন সুশৃঙ্খল ও আদর্শনিষ্ঠ কর্মী ছাড়া কখনো একটি গণসংগঠনের ভিত্তি সুদৃঢ় হয় না। বঙ্গবন্ধুর এই শিক্ষা আমাদেরকে অনুধাবন করতে হবে এবং যে অবস্থানে থেকে নেতৃত্ব দিই না কেন কর্মীদের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে ফজিলাতুননেসা ইন্দিরা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী সাফল্য ও পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। বাংলাদেশে নারীরা আজ পুরুষের পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকান্ডে সমান অংশীদার। তাই নারী সমাজকে শেখ হাসিনার পাশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, আপনার শাসনামলে দেশ দুর্নীতিতে হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের উত্থান হয়েছিল। এখন এসবের অবসান হয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথির ভাষণে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী জাগরণের জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলেন। তিনি নারীদের সম্মান ও মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নারী সমাজের কল্যাণে অনেকগুলো পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। তাই বাংলাদেশের নারী সমাজ অন্ধকার থেকে আলোয় উদ্ভাসিত।
সভাপতির ভাষণে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একজন ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি সমগ্র বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সকল শোষিত মানুষের মুক্তির প্রেরণাদাতা। তিনি পুড়ে ভষ্ম হলেও সেই ভষ্ম থেকেই আবার জন্মলাভ করে।
নগর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর নীলু নাগের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ চেমন আরা তৈয়ব, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সাবিহা মুসা, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. বাসন্তী প্রভা পালিত, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শহীদুল ইসলাম শাহীন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মমতাজ খান।
সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট শহীদদের স্মরণ ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মুনাজাত করেন দারুল ফজল মার্কেট মসজিদের ইমাম আলহাজ মাওলানা ফজল কবির।
এছাড়া গণসঙ্গীত পরিেেবশন করেন নারায়ণ দাশ। উপস্থিত ছিলেন নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রওশন আরা ইউসুফ, রওশন আরা আমিন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মালেকা চৌধুরী, হাসিনা আক্তার টুনু, হুরে আরা বিউটি, আফরোজা কামাল, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, লায়লা আক্তার এটলী, আয়েশা আলম, শারমিন ফারুক, রহমতুন্নেসা, নির্বাহী সদস্য নাজমা মাওলা, ইসরাত জাহান চৌধুরী, ফাতেমা আক্তার, আয়েশা আক্তার পান্না, ঝর্ণা বড়ুয়া, রুবি আক্তার, সোনিয়া ইদ্রিস, শিমলা দাশসহ থানা ও ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি