বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক

31

ড. মো. মোরশেদুল আলম

১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করা সত্তে¡ও পাকিস্তানি স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে দেয়নি। ঐতিহাসিক ৬-দফার ভিত্তিতে নির্বাচনে জয় লাভকারী পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের স্বায়ত্তশাসনের দাবি ছিল শতভাগ বৈধ। দাবি মেনে নেওয়ার পরিবর্তে পাকিস্তানি শাসকচক্র শাসনতন্ত্রের প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা একপ্রকার দিয়েই দিয়েছিলেন। রেসকোর্সের জনসমুদ্র থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ঐতিহাসিক এ ভাষণে বাঙালি জাতিকে মুক্তির আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক। মনে রাখবা : রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব-এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’ রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লক্ষ জনতার উপস্থিতিতে তিনি যখন ভাষণটি দিচ্ছিলেন, তখন পাকিস্তানি বাহিনী সামরিক বিমান দিয়ে টহল দিচ্ছিল। এ কালজয়ী ভাষণে মুক্তিসংগ্রামের সমস্ত রূপরেখা ও মুক্তির বাণী শুনিয়ে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছিলেন। অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক উপায়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়েছেন, যাতে বিশ্ববাসীর নিকট এটি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত না হয়। তাঁর এই আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করাও সম্ভব ছিল না। দি ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার প্রতিনিধি ডেভিড লোসাক ‘পুরাতন পাকিস্তানের অবসান’ শিরোনামযুক্ত এক প্রতিবেদনে যে মন্তব্যটি করেন তার বঙ্গানুবাদ হচ্ছে, ‘রবিবার [৭ মার্চ] শেখ মুজিবুর রহমান সেনাবাহিনীর নিকট থেকে তাৎক্ষণিক কঠোর প্রতিক্রিয়ার কোনো তোয়াক্কা না করেই এই [স্বাধীনতা] ঘোষণার কাছাকাছি এসেছিলেন।’ তাঁর এই ঘোষণার প্রতিধ্বনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকেও প্রচারিত হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামক নীল নকশা অনুযায়ী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর আক্রমণ করে বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন ও নিষ্ঠুরতম গণহত্যা চালায়। রেডিও এবং টেলিভিশন কেন্দ্র দখল করে নেয়ার পর ২৬ মার্চ সকাল থেকেই সামরিক নীতিমালা প্রচারিত হতে থাকে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও সিলেট বেতার কেন্দ্রসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২:২০ মিনিটে ই. পি. আর.-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে প্রেরিত বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং এ ঘোষণা ওয়্যারলেসযোগে চট্টগ্রাম প্রেরণ করেন। ঘোষণাটির বাংলা অনুবাদ হল নিম্নরূপ: ‘আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। এই আমার শেষ কথা। যে যেখানেই থাকুন না কেন সকলের প্রতি আমার আবেদন রইল যার কাছে যা আছে তাই দিয়ে দখলদার বাহিনীর মোকাবিলা করুন এবং বাংলার মাটি থেকে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সমূলে উৎখাত করে চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত লড়ে যান।’ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার সংবাদটি ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইউএনআই পায় ২৬ মার্চ এবং সেটি দিল্লীর দি স্টেটসম্যান পত্রিকায় ২৭ মার্চ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে: রহমানের পদক্ষেপে সেনাবাহিনীর ক্র্যাকডাউন’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটির বঙ্গানুবাদ ছিল নিম্নরূপ: ‘স্বাধীন বাংলা (মুক্ত বাংলা) বেতার কেন্দ্রে একটি গোপন রেডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শাখা বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্রের পুনঃনামকরণ করেছে। রহমান সাহেব পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের ঘোষণা প্রদান করেন।’ ২৫ মার্চ মধ্যরাতে ও ২৬ মার্চ ই. পি. আর. ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাটি দেশের প্রায় প্রতিটি থানায় এবং ই. পি. আর. পোস্টে পৌঁছে যায় এবং তা সর্বত্র সাইক্লোস্টাইল করে বিতরণ করা হয়। বিদেশের পত্র পত্রিকায় ও বেতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা, পাকিস্তান থেকে পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ও গৃহযুদ্ধের খবর প্রচারিত হয়। ঢাকায় দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং ওয়্যারলেস যোগে চট্টগ্রামের ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের নিকট বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পৌঁছে দিয়ে বঙ্গবন্ধু তা প্রচারের নির্দেশ দেন। পরের দিন বিবিসি-র প্রভাতি অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি প্রচারিত হয়। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হান্নানসহ কয়েকজন নেতা এবং কয়েকজন বেতারকর্মীর উদ্যোগে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরিত করে চট্টগ্রাম কালুরঘাট প্রেরণ কেন্দ্রটিকে বেতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয় এবং এর নাম দেওয়া হয় ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’। বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেম সন্দ্বীপ, হাবিবুদ্দিন আহমদ, আবদুল্লাহ আল ফারুক, আমিনুর রহমান প্রমুখ কালুরঘাট ট্রান্সমিশন স্টেশন থেকে বেতার সম্প্রচার শুরু করেন। কালুরঘাট ট্রান্সমিটার থেকে ২৬ মার্চ দুপুর ২টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হান্নান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ও তাঁর নামে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আপনারা যারা এ গোপন রেডিও হতে আমার এই ঘোষণা শুনছেন তারা অন্যদের নিকট এই বাণী প্রচার করবেন। আর যার নিকট যা কিছু আছে তা নিয়ে শত্রূর মোকাবিলা করুন এবং দেশকে মুক্ত করুন।’ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আবুল কাসেম সন্দ্বীপ, এম. এ. হান্নানের পঠিত বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণাটি বারবার প্রচার করতে থাকেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি ২৬ মার্চ দুপুরে এম. এ. হান্নান প্রচার করার পর ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন। স্বাধীনতার ঘোষণাটি বঙ্গবন্ধু বিশেষ ব্যবস্থায় আগেই রেকর্ড করে রেখেছিলেন এবং ইপিআরের ওয়্যারলেসযোগে যথাসময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন। কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার পূর্বমুহূর্তে বঙ্গবন্ধু জানতে পারেন পাকিস্তানি বাহিনী পিলখানায় ইপিআর এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে, তখন তিনি দ্রূত সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাকার টিঅ্যান্ডটি (টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন) এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দ্বিতীয় বার্তাটি প্রেরণ করেন। ইংরেজিতে প্রেরিত বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বার্তার বঙ্গানুবাদ করেন ডাক্তার আনোয়ার আলীর স্ত্রী ডাক্তার মন্জুলা আনোয়ার। বঙ্গানুবাদটি নিম্নরূপ: ‘পাকিস্তানি বাহিনী আকস্মিকভাবে পিলখানা ইপিআর ঘাঁটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আক্রমণ চালিয়েছে এবং নাগরিকদের হত্যা করেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে। আমি বিশ্বের জাতিসমূহের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে চলেছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আমি আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি এবং নির্দেশ দিচ্ছি যে, দেশকে মুক্ত করার জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে যুদ্ধ করুন। পুলিশ বাহিনী, ইপিআর, বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং আনসার বাহিনীকে আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করতে আহবান জানান। কোনো আপস নয়, জয় আমাদের হবেই। বাংলাদেশের পবিত্র মাটি থেকে শেষ শত্রুটিকে পর্যন্ত বিতাড়িত করুন। সব আওয়ামী লীগ নেতা, কর্মী এবং অন্য দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতাকামীদের এই বার্তা পৌঁছে দিন। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোক।’
জয় বাংলা

শেখ মুজিবুর রহমান
বিদেশি পত্র-পত্রিকা, রেডিও ইত্যাদিতেও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। ২৭ মার্চ দি টাইমস পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় যে ব্যানার হেডিং প্রকাশিত হয় তার বঙ্গানুবাদ হচ্ছে: শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, সেখানে প্রচন্ড যুদ্ধ চলছে। একই দিনে ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা ঘোষণা করায় গৃহযুদ্ধ’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রচারিত হয় তার বঙ্গানুবাদ হচ্ছে: ‘গতকাল শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা দিলে সেখানে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র নামে একটি রেডিও থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার এ ঘোষণা প্রচার করা হয়।’ ২৭ মার্চ দি গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণার পর প্রচন্ড লড়াই’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করা হয়। দি টাইমস পত্রিকায় ‘War Clouds Over Pakistan’’ শীর্ষক শিরোনামে সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়, ‘পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্বীকৃত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, প্রতিরোধের আহবান এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান বাহিনীর হস্তক্ষেপের বীরত্বের সাথে সাড়া দিয়েছিলেন।…এটা প্রত্যাশিত যে পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর প্রধান ইউনিটগুলি রাষ্ট্রপতির অনুগত থাকবে।…তবুও, কয়েক সপ্তাহ ধরে শেখ মুজিবুর রহমান সিভিল সার্ভিস এবং পুলিশের সমর্থনে মিছিল করেছেন এবং বেঙ্গলি রেজিমেন্টের বেশিরভাগ সদস্য তাঁর আদেশ মেনে নেবেন বলে ভালো প্রমাণ রয়েছে।’ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে নিউ দ্য হেরাল্ড ট্রিবিউন পত্রিকার সম্পাদকীয়তে প্রকাশিত মন্তব্যের বঙ্গানুবাদ হচ্ছে: “আমরা আশা করি আমাদের পাকিস্তানি বন্ধুরা এতক্ষণে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে পেরেছে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের অনুসারীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সামরিক অভিযান নিয়ে উদ্বেগ, যা একাই মানবিক অনুভূতি থেকে ‘বাংলাদেশের বসন্ত’ নামে পরিচিত জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। এটা মানতেই হবে যে, পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক যন্ত্র দ্বারা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ যে নির্মম সামরিক দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছে তা তাদের প্রতি সমগ্র বিশ্বের সহানুভূতি নিয়ে এসেছে।” বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে একটি মহল বিতর্ক সৃষ্টির যে অপচেষ্টা চালিয়েছিল, তা ইতিহাস বিকৃতির সামিল এবং রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য। কারণ মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত সঠিক তথ্যাদি বাংলাদেশে যেমন সংরক্ষিত আছে, তেমনি পৃথিবীর সর্বত্রই সংরক্ষিত আছে। সুতরাং দিবালোকের মত সত্য ও প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাকে অস্বীকার করার সুযোগ কোনোভাবেই নেই। তাই একথা সুস্পষ্টভাবে বলা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক।

লেখক : শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।