ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে শতভাগ জিপিএ-৫

81

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। এবছর কলেজ থেকে ৪৬ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৪০ ও মানবিক বিভাগের ৬ ক্যাডেট রয়েছে।
অপরদিকে জিপিএ-৫-এ শীর্ষে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ। কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৭৫৯ জন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১৭২ জন শিক্ষার্থী।
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী ক্যাডেট শিহাব জানান, জিপিএ-৫ অর্জনের পেছনে শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। শিক্ষকরা সবসময়ই পড়ালেখা ও অন্যান্য বিষয়াবলী পর্যবেক্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হক সিকদার বলেন, আমাদের শিক্ষকদের নিবিড় তত্ত¡াবধানের কারণে আজকের এ সফলতা। প্রতি বছরই ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীরা ৯৯ থেকে শতভাগ সফলতা অর্জন করে আসছে।
শতভাগ পাসের পেছনে কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ক্যাডেট কলেজের শিক্ষা পদ্ধতি অন্যান্য কলেজের তুলনায় ভিন্ন। উপাধ্যক্ষ, কলেজ অ্যাডজুটেন্ট, মেডিকেল অফিসার ও শিক্ষক-শিক্ষিকার নিবিড় তত্ত¡াবধান এবং ক্যাডেটদের কঠোর অনুশীলন এই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। ভবিষ্যতে এই ক্যাডেটরা দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এখানে শুধু পড়ালেখা নয়, নৈতিক, শারীরিক শিক্ষাসহ একজন পূর্ণাঙ্গ ক্যাডেট তৈরি করা হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের পেছনে শুধু শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে তা কিন্তু নয়, তাদের অভিভাবকদের ভ‚মিকাও রয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের মানবিক প্রেষণা যুগিয়েছেন বলেই আমাদের সকলের মুখ উজ্জ¦ল করেছে। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের এ সাফল্যের ধারা ভবিষ্যতেও যাতে অব্যাহত থাকে, সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের তথ্যমতে, কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৭৫৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১৭২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৬৮৬ জনই জিপিএ-৫ পেয়েছে। মানবিকে ৪৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৬০৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩০ জন।
মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী সুনিতা ধর বলেন, এবারের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে খুবই হতাশাগ্রস্ত ছিলাম। কি না কি হয় এ ভেবে। তবে ফলাফল দেখে আমি খুব আনন্দিত। আমি জিপিএ-৫ পাওয়াতে আমার বাবা-মাও খুব খুশি। তবে খারপ লাগছে বন্ধুদের কেউ কেউ বরাবরই ভালো ফল করলেও জিপিএ-৫ পায়নি।
ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর হাজী মো. মোয়াজ্জম হোসেন বলেন, আমার কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। যার ফলে কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে না আসলেও তার খবরাখবর নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত কেয়ারের দায়িত্ব নেন। তাই শিক্ষার্থীদেরও আর পিছিয়ে পড়ার সুযোগ থাকে না। এ কারণেই জিপিএ-৫-এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে শিক্ষার্থী।