নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর ব্যতিক্রমী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ফুলকি’ তৃতীয়বারের মতো তিনদিনের ‘শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু করতে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়ে চলবে শনিবার (২১ জানুয়ারি) পর্যন্ত। উৎসবের উদ্বোধন হবে দেশের বর্ষীয়ান ছড়াকার সুকুমার বড়–য়াকে সম্মাননা জানানোর মাধ্যমে।
গতকাল বুধবার বিকালে নগরীর নন্দনকানন ফুলকি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফুলকির ট্রাস্টের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন।
এবারের আয়োজনের প্রথম দিন থাকছে ব্রতচারী কর্মশালা, ক্বারাতে পরিবেশনা, সুকুমার বড়–য়ার ছড়া থেকে আবৃত্তি। দ্বিতীয় দিনে থাকছে শিশু-কিশোর সমাবেশ, আনন্দ বিজ্ঞান প্রকল্পের শিক্ষার্থীদের প্রজেক্ট প্রদর্শনী, ফুলকি সহজপাঠ বিদ্যালয়ের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পাপেট শো, চারুকলা পদক প্রদান ও নাট্যপালা। এছাড়া সমাবেশে যুক্ত থাকবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান এবং কিশোর আলো সম্পাদক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক। তৃতীয় দিন থাকছে শিশু-কিশোরদের জন্য নানা কর্মশালা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বিজ্ঞানের মজার খেলা, গল্প পরিবেশনাসহ অন্যান্য আয়োজন।
লিখিত বক্তব্যে ফুলকির সর্বাধ্যক্ষা শীলা মোমেন বলেন, নিরাপদ আনন্দময় জীবন, বাসযোগ্য পৃথিবী ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যে শিশু-কিশোর সমাবেশ। নগরীর পিছিয়ে পড়া স্কুলের শিশুগুলো সমাবেশে অংশগ্রহণ করবে। যার মধ্যে রয়েছে-সরকারি ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল, এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উপলব্ধি, স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতন, শহীদ রুমী স্কোয়াড, স্বপ্নবাগিচা বিদ্যানিকেতন, কলেজিয়েট স্কুলসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সমাবেশের মাধ্যমে যুদ্ধের বিরুদ্ধে, সহিংসতার বিরুদ্ধে অর্থাৎ, শিশুদের জন্য আমরা’ এই শ্লোগান তাদের কথাগুলো বলাতে চাই। তাদের উপলদ্ধিতা আনতে চাই। তারা যাতে বড় হলে এসবের বিরুদ্ধে কথা বলে। ফুলকি নিজের আঙ্গিনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। শিশুদের জন্য যা কিছু ভালো, যা উপযোগী তাই এই অনুষ্ঠানে থাকবে।
ফুলকি স্কুলের প্রসঙ্গ এনে সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, জাতীয় কোর কমিটিতে আমি সদস্য হিসেবে আছি। ফুলকি স্কুলের শিক্ষকরা মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে ফুলকির শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করছে। এসময় ফুলকির সহকারী অধ্যক্ষ রতœা ধর, ফুলকি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক ওমর কায়সার উপস্থিত ছিলেন।
