ফুটবলে আরেকটি হতাশার বছর

35

অনেক দিন ধরেই ফুটবলে সাফল্য নেই বাংলাদেশের। ফেলে আসা বছরও হতাশায় কেটেছে লাল-সবুজ দলের।
২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর ভুটানের কাছে হেরে যাওয়ার পর প্রায় ১৭ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবলে ‘স্বেচ্ছা নির্বাসনে’ ছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ লাওসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে ফিরে আসে আন্তর্জাতিক ফুটবলে। এ বছর ঘরের মাঠে দুটি বড় টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে দুটিতেই। সেপ্টেম্বরে সাফ ফুটবলে সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি। আর অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও হেরে যায় ফিলিস্তিনের কাছে।
২০১৮ সালে ৮টি ম্যাচ খেলে চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, জিতেছে তিনটি, অন্য ম্যাচটি ছিল ড্র। মার্চে লাওসের মাটিতে ২-২ গোলে ড্র করলেও সাফ ফুটবলের ঠিক আগে নীলফামারীতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে যায়। সাফের গ্রুপ পর্বে ভুটান ও পাকিস্তানকে হারিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মনে আশার আলো জ্বেলেছিল জেমি ডে’র দল। শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ড্র করলেই গ্রুপসেরা হতো বাংলাদেশ। কিন্তু ২-০ গোলে হেরে গোল গড়ের মারপ্যাঁচে বিদায় নেয় টুর্নামেন্ট থেকে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপেও তিনটি ম্যাচ খেলেছিল লাল-সবুজ দল। গ্রুপ পর্বে লাওসের সঙ্গে জিতলেও হেরে যায় ফিলিপাইনের কাছে। তাতে অবশ্য সেমিফাইনালে ওঠা আটকায়নি। কিন্তু শেষ চারের লড়াইয়ে পেরে ওঠেনি শক্তিশালী ফিলিস্তিনের সঙ্গে। জাতীয় দল ব্যর্থ হলেও সাফল্য পেয়েছে অনূর্ধ্ব-২৩ দল। ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে প্রথমবারের মতো শেষ ষোলোতে খেলেছে বাংলাদেশ। সামগ্রিকভাবে ব্যর্থ হলেও দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট জেমি ডে। ‘এ বছর ছেলেরা কোনও ট্রফি না পেলেও তাদের উন্নতিতে আমি খুশি।’
২০১৯ সাল জাতীয় দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বছরে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। বর্তমানে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১৯২ নম্বরে বাংলাদেশ। নতুন বছরে র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি চান কোচ জেমি ডে, ‘নতুন বছরে আমরা আরও ভালো করতে চাই, ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১৮০ নম্বরের মধ্যে থাকতে চাই।’