ফিটনেস-লাইসন্স নবায়ন না করা গাড়ি ও চালকের তথ্য চান হাইকোর্ট

34

ঢাকাসহ সারাদেশে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ি এবং লাইসেন্স নবায়ন না করা চালকের তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতের তলবে বিআরটিএ-এর পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী হাজির হওয়ার পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে সারাদেশে রেজিস্ট্রেশনধারী ফিটনেসহীন ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে বিআরটিএ কি ব্যবস্থা নিয়েছে তাও এক মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান ও বিআরটিএ-এর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে এ আদেশ পালন করতে বলা হয়েছে। খবর বাসসের
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। বিআরটিএ’র পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী ও রাফিউল ইসলাম।
একটি ইংরেজি দৈনিকে গত ২৩ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব আদালতের নজরে আনেন। এরপর ২৭ মার্চ আদালত রুলসহ আদেশ দেয়। রুলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধান সঠিকভাবে পালনের নির্দেশনা দেয়া হবে না তা সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চান আদালত। আদেশে বিআরটিএ’র সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়।
ওই আদেশ অনুযায়ী গতকাল সোমবার বিআরটিএ ও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে বিআরটিএ’র পরিচালকও হাজির হন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, ঢাকাসহ সারাদেশে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।